রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু নির্বাচন না, এটা নবজাগরণ।
তিনি বলেন, আমাদের এতো সংস্কার কেন দরকার হচ্ছে? কারণ স্বৈরাচার যাতে আর কোনোভাবে ঢুকতে না পারে এজন্য সব পথঘাট বন্ধ করতে হবে। আমাদের সবার একমত হয়ে এই কাজটা করতে হবে। সবার কাছে আবেদন থাকবে যখনই জুলাই সনদ করবেন, কোলাকুলি করে করবেন, যে আমরা একমত হয়ে গেছি। তাহলে সবকিছু সার্থক হবে। যেহেতু আলাদীনের দৈত্য আমাদের সামনে আছে, আমাদের শুধু চাইতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন ঐকমত্য কমিশন গঠন করলাম, তখন সদস্যরা কেউ জানতো না এটা কি জিনিস। না জেনেও এটাকে আপনারা গ্রহণ করেছেন। এ আলোচনা চলতে থাকবে। এই দৈত্যকে আমরা আর পাব না। একবারই পেয়েছি। তার কাছে আমাদের মনের সব আশা পূরণের দায়িত্ব দিয়ে দেব।
আজ এই পর্বে সমাপ্তি হলো। এই আনন্দঘন পরিবেশ বজায় রেখেই আমরা নির্বাচন পর্যন্ত যেতে চাই। ভেতরে কোনো দুঃশ্চিন্তা রেখে যেন আমাদের নির্বাচনে যেতে না হয়। উৎসব এখান থেকে সৃষ্টি হবে। সেই উৎসব নিয়েই নির্বাচন হবে। এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। এটাই পথ। আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি। এই পথেই যাব। আমাদের যাত্রাপথ পরিস্কার।
তিনি আরও বলেন, যে সব জিনিস হয়ে গেছে তা থেকে পুরো দেশের মানুষ মুক্ত হতে চায়। সমস্ত পথ-ঘাট বন্ধ করতে চায়। এখন থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কাজটা যদি আমরা করে ফেলতে পারি, তাহলে আমাদের দেশ যেমন নিশ্চিন্ত হবে, তেমনি সারা পৃথিবী আমাদেরকে অনুসরণ করবে। এখনো আমরা সবাই বুঝছি না যে, ঐকমত্য কমিশন আমাদের কী দিয়েছে। এক বছর পর যখন এদিকে ফিরে দেখবেন তখন বুঝতে পারবেন কী মহাকাণ্ড আপনারা করেছেন। দুই বছর, দশ বছর পর যখন অন্যরা দেখবে, তারা অবাক দৃষ্টিতে তাকাবে। সেই কাজটা যেন নিখুঁত হয়। এমনভাবে করব যে এটা থেকে একটা নতুন জাতি জন্মগ্রহণ করবে। সেই আবেদন আপনাদের কাছে। এটা ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটাই একমাত্র সুযোগ, এবং এটাকে আমাদের গ্রহণ করতেই হবে। সমঝোতা বলেন, ঐক্য বলেন, যখন নির্বাচনে যাব, একমত হয়েই যাব। নির্বাচন শেষ করে আমরা উৎসব করব। যে সব ভয়ঙ্কর কথাবার্তা আমরা শুনি, সেগুলো যেন বাস্তবে দেখতে না হয়।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ঐকমত্য কমিশনের যারা দিনরাত পরিশ্রম করে এই কাজটা করেছেন, তাদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।