শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ভূমিকম্প আঘাত : নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ,আহত ওনিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারের প্রতি আহবান ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক ভূমিকম্প থেকে রক্ষায় সরকারের এখনই জরুরি করণীয় ঠিক করা উচিত: জাহিদ হোসেন ভূমিকম্পের ক্ষতিরোধে ৬ উদ্যোগ নেবে জামায়াত: ব্যারিস্টার আরমান সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া ‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’ এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনি নিহত-হারেৎজের প্রতিবেদন

গাজায় চলমান যুদ্ধে প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ। ইসরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক হারেৎজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এই পরিসংখ্যান গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

হারেৎজ জানায়, শুধু ইসরায়েলি হামলায় নয়, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে ক্ষুধা, ঠাণ্ডা ও রোগবালাইয়ের কারণেও বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন।

পত্রিকাটি লিখেছে, ইসরায়েলি মুখপাত্র, সাংবাদিক ও প্রভাবশালীরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যকে বরাবরই অস্বীকার করে অতিরঞ্জন বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যা অতিমাত্রায় নয়, বরং বাস্তবের তুলনায় রক্ষণশীল হিসাব।

হারেৎজ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব হোলোওয়ের অর্থনীতিবিদ ও সংঘাতজনিত মৃত্যু নিয়ে গবেষণার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মাইকেল স্প্যাগাট গাজায় মৃত্যুর হার নিয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেন। এতে গাজার দুই হাজার পরিবার অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার মানুষ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত গাজায় ৭৫ হাজার ২০০ মানুষ সরাসরি সহিংস মৃত্যুর শিকার হয়েছেন, যার বেশিরভাগই ইসরায়েলি অস্ত্রের কারণে।

এই মৃত্যুর মধ্যে ৫৬ শতাংশই শিশু ও নারী। হারেৎজ বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় সব সংঘাতে এ ধরনের উচ্চ নারী-শিশু মৃত্যুহার বিরল।

প্রফেসর স্প্যাগাট গাজাযুদ্ধকে তিনি ২১ শতকের অন্যতম রক্তক্ষয়ী সংঘাত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সিরিয়া, ইউক্রেন ও সুদানের তুলনায় গাজায় নাগরিক ও সামরিক বাহিনীর নিহতের অনুপাত এবং জনসংখ্যার হারে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি।

তথ্য অনুযায়ী, সহিংস মৃত্যুর শিকার হওয়া নারীদের ও শিশুদের অনুপাত গাজায় ৫০ শতাংশের বেশি, যেখানে কসোভোতে তা ছিল ২০ শতাংশ, উত্তর ইথিওপিয়ায় ৯ শতাংশ, সিরিয়ায় ২০ শতাংশ ও সুদানে ২৩ শতাংশ।

স্প্যাগাট বলেন, আমার ধারণা গাজার প্রায় ৪ শতাংশ জনসংখ্যা নিহত হয়েছে। ২১ শতকে এর চেয়ে বেশি জনসংখ্যার অনুপাতে মৃত্যু আর কোথাও ঘটেনি।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় চরম সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে, যা আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025