রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা ৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিএনপি নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে: সেনাপ্রধান ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই: জামায়াত আমির প্রায় ৫০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল, ৩৪২ ফিলিস্তিনি নিহত এবার মিয়ানমার উপকূলে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প এখন সময় এসেছে ইসলামের বাংলাদেশ দেখার: মামুনুল হক দাঁড়িপাল্লা গণমানুষের আস্থার প্রতীকে উপনীত হয়েছে: শফিকুর রহমান নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছি না: নাহিদ ইসলাম

আমেরিকার শুল্ক আরোপে গভীর সংকটে ভারতের ওষুধ শিল্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প, যা দেশটির স্বাস্থ্য খাতকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।

সম্প্রতি ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আকস্মিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং একটি বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা চালান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় ওষুধের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে সস্তা ওষুধের অভাব দেখা দিতে পারে এবং চিকিৎসা ব্যয় বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত মোট ওষুধের প্রায় ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে ভারত। বিশেষত, জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে ভারত সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী, যা যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধের বাজারের ৯০ শতাংশ দখল করে রয়েছে। ২০২২ সালে এই ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২১৯ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে।

শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা বাজার থেকে সরে যেতে বাধ্য হতে পারে, যা ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ ব্যয় বিশ্লেষক ড. মেলিসা বারবার বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ওষুধের চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসা ব্যয় আরও বেড়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদন খরচ ভারতের তুলনায় অন্তত তিন থেকে চারগুণ বেশি। ফলে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। ভারতের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সান ফার্মার চেয়ারম্যান দিলীপ সাংভি বলেন, আমাদের ওষুধের মূল্য প্রতি বোতল মাত্র ১ থেকে ৫ ডলারের মধ্যে, তাই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের মুখে ভারত সরকার শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্প্রতি ভারত সরকার ৩৬টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধের শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। ট্রাম্পও বলেছেন, ভারত তার শুল্ক ‘অনেক কমিয়ে দেবে’, তবে দিল্লি এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে নতুন শুল্কনীতির কারণেকিছু প্রতিকূলতা তৈরি হতে পারে। তবে বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে, যা ওষুধ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।

সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025