রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
পরিবর্তিত বাংলাদেশে দাঁড়িপাল্লা গণমানুষের আস্থার প্রতীকে উপনীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আজ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখে দাঁড়িপাল্লার জোয়ার উঠেছে। অথচ দীর্ঘসময় বাংলার জনগণ থেকে দাঁড়িপাল্লা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টায় নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত চট্টগ্রামের নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে আমির বলেন, আমরা দীর্ঘসময় ধরে জুলুম সহ্য করেছি আল্লাহর জন্য। পটপরিবর্তনের পর আমরা কারও ওপর জুলুম হতে দেইনি। দেশবাসীকে বলেছি ধৈর্য ধরতে। তারা ধৈর্যের সর্বোচ্চ উদাহরণ তৈরি করেছে। প্রশাসন ভয় পেতো, আমরা তাদের সাহায্য করেছি, উৎসাহ দিয়েছি।
তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। অনেক তরুণ তাদের জীবনে একটি বারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তারা অপেক্ষা করছে ভোট দিতে। কেউ তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনাদের পরিণতিও ভালো হবে না। অতীত থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীর গণভোটে যারা হ্যাঁ এর পক্ষে থাকবে তারা অতীতের বস্তাপচা রাজনীতি চায় না। যারা না এর পক্ষ অবলম্বন করবে তারা অতীতের বস্তাপচা রাজনীতি ফিরে আনতে চায়।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে চাই, আমরা অতীতেও চাঁদাবাজি করিনি, আগামীতেও করবো না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল এই কথাটি জোড়ালোভাবে বলতেও পারে না। কারণ বলতে গেলে তাদেরও হাসি আসবে, জনগণও হাসবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ কায়েম করতে চাই। আমরা অনেক জুলুম সহ্য করেছি। আর কোনো মানুষ যেন জুলুমে শিকার না হয়। আমরা জুলুম মুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। আজ সব ইসলামপন্থি ও দেশ প্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তাদের নিয়ে আমারা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই তাহলে আমাদের কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি কোন বাড়ি গ্রহণ করবেন না, ট্যাক্সবিহীন গাড়ি গ্রহণ করবেন না। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা বিলাসী জীবনযাপন করতে পারে না। বিলাসিতা আল্লাহ পছন্দ করেন না। আমরা আল্লাহর নির্দেশনার আলোকে ন্যায়ভিত্তিক দেশ পরিচালনা করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেবো’- এই নীতি আর চলবে না। এবার যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। আমাদের লড়াই হবে মাজলুমের পক্ষে, জালিমের বিপক্ষে। আমরা আর কাউকে জালিম হয়ে উঠতে দেবো না।
জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহিদুর ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শামসুজ্জামান হেলালীর যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আমিরর ও চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলা উদ্দিন সিকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমির মাওলানা আবদুস সালাম আজাদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আলিম, কক্সবাজার জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈমুনুল ইসলাম মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।