শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প দেখেছে নরসিংদীবাসী। ফলে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কটেনি। প্রতিনিয়ত উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন এই জেলার মানুষ। এখন পর্যন্ত জেলায় পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে পুরো জেলা কেঁপে ওঠে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অপর ট্রান্সফরমারগুলোর বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেসরেজমিনে নরসিংদীর পলাশ ও মাধবদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উঁচু ভবনে পড়েছে ভূমিকম্পের ছাপ। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসের আঙিনার মাটি দেবে গেছে। প্রধান ফটকের সামনের একটি টিনশেডের মেঝে ফেটে হয়ে গেছে। ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্মের ভেতরে মাটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানকার মাটি ফেটে আদালা হয়ে গেছে। সেখানে মাটিতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ফাঁক হয়ে গেছে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও আগুন লেগে যায়। এতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হয়। একইসঙ্গে ঘোড়াশাল এলাকার ছয়টি বাড়ি ও এস এ প্লাজা নামে একটি সাততলা শপিং মলে ফাটল ধরে। পাশাপাশি ঘোড়াশাল বাজারের বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে দেয়ালের ইট পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নরসিংদী শহর মাধবদী, পলাশ ও ঘোড়াশালে একাধিক ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের সকল তথ্য পেয়ে যাবো। অন্যদিকে নিহতদের দাফন কাফনের ব্যবস্থাসহ ২৫ হাজার টাকা করে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।