বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিশাল নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। ইন্দোনেশিয়ার শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে ,সর্বোচ্চ সতর্কতা ৩০ নভেম্বর থেকে বিভাগীয় সাত শহরে সমাবেশ করবে ৮ দল বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার বলেন , গুপ্ত সংগঠনের লোকজন দিয়ে একটি মহল মশাল মিছিল করছে জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

আমরা সবাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দুনিয়ায় এসেছি। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমাদের অনন্ত অসীম পরকালের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই দুনিয়ার জীবনের কোনো মুহূর্তকেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ মুমিনের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ।

জীবনের একেকটি সেকেন্ড কাজে লাগিয়ে মুমিন অফুরন্ত সওয়াব অর্জন করতে পারে। কিন্তু কিছু বিশেষ সময় বা মুহূর্তকে মহান আল্লাহ তাদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ করেছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো—রাতের শেষ ভাগ : মুমিনের জন্য আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের বিশেষ সময় হলো রাতের শেষ ভাগ। এই সময় মহান আল্লাহ বান্দাকে ডাকতে থাকেন।

তখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তিনি তাকে তা দান করেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আমর ইবনে আবাসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রাতের শেষ ভাগে মহান প্রভু আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী হন। সুতরাং তুমি এই সময় আল্লাহর স্মরণ করতে পারলে তা করো। (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫) 

সকাল-সন্ধ্যা : তা ছাড়া মহান আল্লাহ সকাল-সন্ধ্যাকেও ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে তৈরি করেছেন।

পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.) সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, ‘আমি (আল্লাহ) নিয়োজিত করেছি পর্বতকে, যাতে তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সঙ্গে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং সমবেত বিহঙ্গকুলকেও। সবাই ছিল তাঁর অনুগত। ’ (সুরা : সদ, আয়াত : ১৮-১৯)এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, সকাল-সন্ধ্যায় শুধু মানুষই নয়। গোটা সৃষ্টিজগৎই আল্লাহর তাসবিহে নিয়োজিত থাকে।

সুতরাং এই দুটি সময়ও মুমিনের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।বান্দার দৈনিক আমলগুলো মহান আল্লাহর দরবারে দুই কিস্তিতে পেশ করা হয়। দিনের আমল দিন শেষে রাত আসার আগে; আর রাতের আমল প্রতি রাতের শেষে দিনের সূর্য উদিত হওয়ার আগে।

হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মুসা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সামনে পাঁচটি কথা বললেন, আল্লাহ কখনো নিদ্রা যান না। নিদ্রিত হওয়া তাঁর সাজেও না। তিনি তাঁর ইচ্ছানুসারে তুলাদণ্ড নামান এবং উত্তোলন করেন। দিনের আগেই রাতের সব আমল তাঁর কাছে উত্থিত করা হয় এবং রাতের আগেই দিনের সব আমল তাঁর কাছে উত্থিত করা হয়। এবং তাঁর পর্দা হলো নূর (বা জ্যোতি)। (মুসলিম, হাদিস : ২৯৩)

সিজদার সময় : মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সময় হলো সিজদা। রাসুল (সা.) বলেছেন, সিজদারত বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং সে সময় বেশি বেশি দোয়া করো। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)

আজানের সময় : আজানের সময়ও মুমিনের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মুয়াজ্জিন আজান দেয়, আসমানের দুয়ার খুলে যায় ও দোয়া কবুল হয়। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস : ১৮৮৪)

আজান-ইকামতের মধ্যবর্তী সময় : আজানের পর থেকে নিয়ে ইকামতের মধ্যবর্তী সময়টিও গুরুত্বের দিক থেকে কম নয়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দোয়া কবুল হয়। সুতরাং তোমরা দোয়া করো। (মেশকাত, হাদিস : ৬৭১)

এ ছাড়া ইকামত, সৈন্য সমাবেশ ও বৃষ্টির সময় আল্লাহ মানুষের দোয়া কবুল করেন। তাই এই মুহূর্তগুলোকেও অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা দোয়া কবুলের সুযোগ সন্ধান করো সৈন্য সমাবেশ, নামাজের ইকামত ও বৃষ্টি বর্ষণের সময়। (বায়হাকি)

জুমার দিন : জুমার দিন বেলা ডোবার পূর্ব মুহূর্তটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের ১২টি মুহূর্ত। তার একটি মুহূর্ত এমন, যখন কোনো মুসলিম কিছু চাইলে আল্লাহ তা তাকে দান করেন। তোমরা আসরের পরের শেষ মুহূর্তে তা অনুসন্ধান করো। (বুখারি, হাদিস : ৬০৩৭)

এ ছাড়া ইফতারের সময়, লাইলাতুল কদরের রাতে, আরাফার ময়দানে অবস্থানের সময় এবং কাবা ঘরের সামনে অবস্থানের সময়টুকু বান্দার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025