সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে চুয়াডাঙ্গা -মেহেরপুর মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত নাইজেরিয়ার ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০৩ শিক্ষার্থীকে অপহরণ এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থি কাজ বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না:সালাউদ্দীন দলীয় স্বার্থে ইসলামের ব্যাখ্যা দিলে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে:তারেক রহমান আমীর খসরু বলেন ,বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করবে মনগড়া মতবাদে গড়া সমাজ শান্তি-সম্মান দিতে পারবে না: জামায়াত আমির এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

ছাত্রদল-শিবিরকে বিশৃঙ্খলায় না জড়ানোর নির্দেশনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দ্বন্দ্বে না জড়াতে নিজ নিজ ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত।

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে দল দুটির হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের পর ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, বিশৃঙ্খলা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোর হাতে দমন করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা কথা দিয়েছি ছাত্রদল সংঘর্ষ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না। আমরা ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।

জামায়াতে ইসলামীর একজন নায়েবে আমির মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ছাত্রশিবির বা জামায়াতের বাইরের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে না। তবে, নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

রাজনৈতিক দল দুটির একাধিক সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারও কথা বলেন দুই দলের নেতাদের সঙ্গে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কারচুপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাগছাসের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।

নির্বাচনের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তাই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অংশ নেন। ভোট চলাকালে প্রেস ক্লাব এলাকায় অংশ নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শাহবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। শাহবাগের একপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

সন্ধ্যার পর মহানগর ছাত্রদল বাংলা মোটর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যায়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে অংশ নেন। জামায়াতও শাহবাগে অবস্থান ধরে রাখে। এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।

এরপরই সরকারের পক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025