সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে চুয়াডাঙ্গা -মেহেরপুর মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত নাইজেরিয়ার ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০৩ শিক্ষার্থীকে অপহরণ এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থি কাজ বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না:সালাউদ্দীন দলীয় স্বার্থে ইসলামের ব্যাখ্যা দিলে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে:তারেক রহমান আমীর খসরু বলেন ,বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করবে মনগড়া মতবাদে গড়া সমাজ শান্তি-সম্মান দিতে পারবে না: জামায়াত আমির এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক

দেশের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ, প্রবীণ রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ শোকবাণী প্রদান করেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, লেখক, গবেষক, প্রবীণ রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল হাশিম ছিলেন উপমহাদেশের একজন প্রভাবশালী মুসলিম জাতীয়তাবাদী নেতা। বদরুদ্দীন উমর একজন খ্যাতিমান লেখক, গবেষক ও বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ষাটের দশকে জাতীয়তাবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি বিষয়ে তার রচিত গ্রন্থগুলো মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব সময়ে সাংস্কৃতিক চেতনা গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে প্রভাব বিস্তার করে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হলেও তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি আরও বলেন, বদরুদ্দীন উমর গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহু অবদান রেখে গিয়েছেন। আমি তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি ও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে তার শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

উল্লেখ্য, ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বদরুদ্দীন উমর। তার পিতা আবুল হাশিম ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ, যিনি মুসলিম লীগের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলেই তিনি রাজনীতি ও সমাজ বিশ্লেষণের বীজ বপন করেন, যা পরবর্তী সময়ে তার লেখনীতে প্রতিফলিত হয়।

ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় চেতনার উন্মেষ এবং বাঙালি সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলনে বদরুদ্দীন উমরের লেখা বইগুলো—বিশেষ করে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ (১৯৬৬), ‘সংস্কৃতির সংকট’ (১৯৬৭) এবং ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’ (১৯৬৯)—গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তার লেখায় ধর্ম ও রাজনীতির দ্বন্দ্ব, উপনিবেশিক উত্তরাধিকার এবং সাংস্কৃতিক বিভাজন নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ফুটে উঠেছে।

সম্প্রতি, গত ২২ জুলাই শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপজনিত সমস্যায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফেরেন। বয়সের ভার ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তার বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান আজও প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ।

বদরুদ্দীন উমর শুধুই একজন লেখক নন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধির, ধর্মনিরপেক্ষতার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের এক অনন্য প্রবক্তা।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025