বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
মৃত্যু অনিবার্য হলেও কাম্য নয় তারপরও বিধাতার নিয়ম মৃত্যূর সাধ গ্রহণ করতেই হবে। বিধাতার এ নিয়ম মেনে নিতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই। কিছু কিছু মৃত্যূ শুধু যে স্বজন, পরিবার বা সমাজকে কাঁদায় তা নয়, কিছু কিছু মৃত্যূ গোটা জাতিকে কাঁদায়। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শূন্যতা অপুরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যূ দিয়েই বর্ণাঢ্য জীবনের সমাপ্তি ঘটলো।
রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকবে, বৈরিতা থাকবে, আলোচনা-সমালোচনা থাকবে, বিরোধ থাকবে। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যূতে গোটা দেশ আজ স্তব্দ হয়ে পড়েছে। জাতি একজন দেশ প্রেমিক অভিভাবক হারালো। দেশের এই ক্রান্তিকালে তার প্রয়োজনীয়তা ছিলো খুব যখন ফ্যাবসবাদ মুক্ত বাংলাদেশ ১৭ বছর পরে ভোটের মাঠে।
খালেদা জিয়া, গৃহবধূ থেকে আপোষহীন এক নেত্রীর নাম। তার আপসহীন সংগ্রামী মনোভাব বাংলাদেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বারবার লড়াইয়ে পথ দেখিয়েছে। সাধারণ একজন গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্রের ক্রান্তিলগ্নে এক অপ্রতিরোধ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার কালো ছায়া থেকে বাংলাদেশকে নিরাপদে রাখতে তার ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয় এই নেত্রী ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা চন্দনবাড়ির মেয়ে তৈয়বা মজুমদার আর পিতা ফেনীর ফুলগাজির ইস্কান্দার মজুমদার। দিনাজপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। জিয়া-খালেদা দম্পতির দুই সন্তান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকো। ১৯৮১ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শাহাদাত বরণ করেন। তার আগ পর্যন্ত সাধারণ গৃহবধূই ছিলেন খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়া পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন,একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন।এরপর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন।তিনি স্বামীর সাথে পশ্চিম পাকিস্তান এ বসবাসের পূর্বে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ এ পড়াশোনা করেন।
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডি এফ আই এর কর্মকর্তা রূপে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাঈদ এস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের আহ্বানে তিনি ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন।১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলত বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।
১৯৮৩ সালের বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই সময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরম্ভ হয়। বেগম জিয়া প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন। একই সময় তার নেতৃত্বে সাত দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পনেরো দলের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচির সূত্রপাত করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা আন্দোলন চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি হয়। ১৫ দল ভেঙে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। এরপর বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল, পাঁচ দলীয় ঐক্যজোট আন্দোলন চালায় এবং নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া “এরশাদ হটাও” শীর্ষক এক দফার আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এর ফলে এরশাদ সংসদ ভেঙে দেন। তারপর পুনরায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপক্রম হয়। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর অবিরাম, নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট পাঁচটি আসনে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করেন।
বাংলাদেশের আকাশে আজ এক ধরনের অদ্ভুত নীরবতা। বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে কখনও এত গভীর, এত ভারী নীরবতা নেমে আসেনি। যেন সারাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক মহাসংকটের দ্বারপ্রান্তে, আবার কোনো অধীর অপেক্ষায়ও। এই অপেক্ষার কেন্দ্রে যে মানুষটি, তিনি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক চরিত্র নন; তিনি দেশে গণতন্ত্রের প্রতীক, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী আপষহীন শক্তিএবং সংগ্রামের প্রতীক- খালেদা জিয়া। তার অসুস্থতার খবরে দেশের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি হৃদয়ে যেন একই বেদনা, একই আকুতি-তিনি সুস্থ হোন, তিনি ফিরে আসুন কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে সবাইকে কাঁদিয়ে চির বিদায় নিলেন।
টানা ৪৪ বছর ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সংসদীয় আসনে বিজয়, আপসহীন সংগ্রামে তিনটি স্বৈরশাসনকে (’৮২-৯০, ২০০৭-০৮, ২০০৯-২৪) বিদায় দেওয়ার অসামান্য কৃতিত্ব তার। পাশাপাশি তাকে সইতে হয়েছে অচিন্তনীয় অমানবিক নির্যাতন। সশস্ত্র হুমকিতেও দেশ ছেড়ে যাননি শুধু বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য। কর্মগুণে ও সততায় হয়ে গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সময়ের পরিক্রমায় সাধারণ গৃহবধূ থেকে আপসহীন নেত্রী এবং অবশেষে সফল সরকারপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
দেশের রাজনীতির জগতে তিনি ছিলেন এক কবিতার নাম, এক দৃঢ়তার নদীর স্রোত। তার জীবন এক অসমাপ্ত মহাকাব্য; যা লড়াই দিয়ে শুরু হয়েছে, দায়িত্ব দিয়ে প্রসারিত হয়েছে, আর এখন যন্ত্রণার করিডর পেরিয়ে হঠাৎ যেন থমকে গেছে।
যিনি এতদিন দেশের রাজনীতির ঝড়-বাদলের মাঝে দাঁড়িয়েছিলেন ইস্পাতের মতো দৃঢ় হয়ে, সেই তিনি আজ ভিন্ন এক সংগ্রামে। তার শক্ত হাতে বিএনপি উঠে দাঁড়িয়েছিল, শক্তিশালী হয়েছিল। কখনও দল ভাঙার ষড়যন্ত্র, কখনও স্বামীহারা জীবনের বেদনা, কখনও রাজপথের বুলেট, কখনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারাবাস-সবকিছু অতিক্রম করে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মাথা উঁচু করে। আর দেশের মানুষ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আপসহীন নেত্রী হিসেবে। কিন্তু আজ তিনি সেই শক্ত হাত দুটোই অন্যদের আস্থায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তার অসুস্থতা ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নয়। এটি একটি জাতির অভিন্ন যন্ত্রণা। দেশজুড়ে যে মানুষগুলো এক সময় তার এক ডাকেই রাজপথে নেমে এসেছিল, আজ তারা নীরব চোখে তাকিয়ে থাকে ভালো খবরের আশায়। কবে তিনি সুস্থ হবেন? কিন্ত তিনি আবার ফিরে আসবেননা আর তার কণ্ঠ শোনা যাবে না। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বেগম জিয়া। তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদে বেশ কিছু অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। কর্মসংস্থানের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এই সময় এবং শুধুমাত্র তৈরি পোশাকশিল্প খাতেই পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ছিল ২৯%। প্রায় দুই লাখ নারী এই সময় তৈরি পোশাকশিল্প খাতে যোগ দেয়।
তিনি জাতিসংঘে গঙ্গার পানি-বণ্টনের সমস্যা উত্থাপন করেন, যাতে বাংলাদেশ গঙ্গার পানির ন্যায্য অংশ পায়। ১৯৯২ সালে তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানো হলে সেখানে তিনি রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সমস্যা উত্থাপন করেন এবং পরে মিয়ানমার সরকার ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করে।
আপসহীন সংগ্রাম আর দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানে লাখো জনতার সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়াকে ‘দেশনেত্রী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সে সময় থেকে ‘দেশনেত্রী’ খালেদা জিয়ার নামের অংশ হয়ে যায়।১৯৯৬ সালে বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর খালেদা জিয়া টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতির কারণে, তিনি এক মাসের মধ্যে পদত্যাগ করেন। ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপিকে হারিয়ে দেয়া হয়। তবে দলটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সংসদে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল হিসেবে ১১৬টি আসন পায় সেই নির্বাচনে।
বিএনপি ১৯৯৯ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে চারদলীয় জোট গঠন করে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলে। বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হন। ফোর্বস ম্যাগাজিন নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে তার ভূমিকার জন্য ২০০৫ সালে বিশ্বের সেরা নারী ব্যক্তিত্বের তালিকায় তাকে ২৯ নম্বরে স্থান দেয়।
২০১১ সালের ২৪ মে নিউ জার্সি স্টেট সিনেটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ পদক প্রদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সিনেট কর্তৃক কোনো বিদেশিকে এ ধরনের সম্মান প্রদানের ঘটনা এটাই ছিল প্রথম। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয় কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন।
২০০৬ সালে, তিনি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্বাসনে পাঠানোর একাধিক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দুর্নীতির তুচ্ছ এবং ভিত্তিহীন অভিযোগে স্বৈরাচারী সরকার গ্রেফতার করে।
ক্ষমতায় থাকাকালীন, খালেদা জিয়ার সরকার বাধ্যতামূলক বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা, মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা, ছাত্রীদের জন্য একটি শিক্ষা ‘উপবৃত্তি’ এবং শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য খাদ্য প্রবর্তন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছিল। তার সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করে এবং শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করেন।
২০০৯ সাল থেকে, যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বিচারে গুম, খুন, ক্রসফায়ার আর বিনাবিচারে ভিন্নমতের রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র থেকে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করে, তখন তিনি গণতন্ত্রের জন্য তার লড়াই নতুন করে শুরু করেছিলেন। সরকার তাকে জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয় এবং গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু করায় তাকে দুইবার গৃহবন্দী করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২০ সালের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আন্তর্জাতিক এবং দেশিয় আইন বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে, মূলত নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবেই তাকে সাজা দেয়া হয়েছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে তার ‘ন্যায্য বিচারের অধিকারকে সম্মান করা হচ্ছে না।’
বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়াই একমাত্র নেত্রী, যিনি অন্তত ১১ বার বন্দিদশা মোকাবিলা করে স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে ভ্রুকুটি করে ষড়যন্ত্র ও কুটিলতার জাল ছিন্ন করে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উজ্জ্বল পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন এবং সফলকাম হয়েছিলেন।খালেদা জিয়ার ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ওয়ান ইলেভেনের সময়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির সেনানিয়ন্ত্রিত সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ জিয়া পরিবারের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতনের ভয়াবহতা। খালেদা জিয়াকে বন্দি করে সাব-জেলে নিক্ষেপ করা হয়। দেশত্যাগে বাধ্য করতে তার ওপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়। তারেক রহমানকে বন্দি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে বন্দি করা হয়। চলে নিপীড়ন। সুস্থ সবল আরাফাত রহমান জেল থেকে বের হন মুমূর্ষু অবস্থায়। এরপর আর একদিনের জন্যও সুস্থ হননি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তারেক রহমান জেলখানা থেকে বের হন ভাঙ্গা মেরুদণ্ড নিয়ে এবং দেশ ছেড়ে গত ১৭ বছর লন্ডনে বসবাস করতে বাধ্যকরা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় খালেদা জিয়া-তারেক রহমান ও বিএনপি বিনাশের নীলনকশা। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার বিতর্কিত আদালত কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে কারাবন্দি করেন। সেই থেকে শুরু হয় তার জেলজীবন। জেলে তাকে বিনা চিকিৎসায় জীবননাশের উপক্রম করা হয়। প্রায় দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় পারিবারিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য শর্তসাপেক্ষ মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর দফা-দফায় ছয় মাস করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সাবেক সরকার। তাকে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকরাও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ প্রেরণের সুপারিশ করেন। কিন্তু হাসিনার সরকার সেটি অগ্রাহ্য করে। ২০২৪ সালের আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়। পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য স্বৈরাচারী এরশাদ, হাসিনা ও মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দীন সরকার এমন কোনো চক্রান্ত নেই যা করেননি। কিন্তু বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী বেগম খালেদা জিয়া টানা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি নিখোত ভালবাসা খালেদা জিয়াকে সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে আসে। তিনি সশস্ত্র হুমকিতেও দেশ ছেড়ে যাননি শুধু বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য। কর্মগুণে, আন্তরিকতায় ও সততায় হয়ে গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্মরণকালের কুখ্যাত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শাসনামলে খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, যে বাড়িতে তার প্রাণপ্রিয় স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া শেষদিন পর্যন্ত জীবনযাপন করেছেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শহীদ মইনুল হোসেন সড়কের বাড়িটি কেবল একটি বাড়ি ছিল না, এটি ছিল ইতিহাসের স্মৃতিময় গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সেই বাড়ি থেকে যখন তাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়, তখনো খালেদা জিয়া কোনো ধরনের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে যাননি। এমনকি বাড়ি নিয়ে নজিরবিহীন অপপ্রচারের জবাবও দেননি। খালেদা জিয়া মূলত এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি একজন আদর্শবান মহীয়সী নারী। জাতির অভিভাবকের মতোই তিনি আচরণ করেছেন সব সময়।
একজন রাজনীতিবিদ যে পরিশীলিত ভাষায় কথা বলে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, তার প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া। এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতিতে এখন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। জীবনের ৮০টি বছর পার হলেও এখনো সাধারণ জনগণের মধ্যে এখনো রয়েছে তার বিপুল জনপ্রিয়তা বর্তমান দেশের ক্লান্তিকালে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন জাতীর অবিভাবক।
বাংলাদেশে রাজনীতির মাঝে তার আচার আচরণ সমালোচনা করেও কীভাবে পরমতসহিষ্ণুতা দেখানো যায়, সম্মান জানানো যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া কখনো প্রতিশোধপ্রবণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করেননি। তিনি এক উদার গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক ও বাহক। এ কারণেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে, সেই অন্যায়-অবিচারগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তিনি দিয়েছেন দেশের জনগণের ওপর। তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যেসব কথা বলেছেন সবই জনগণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু একটিবারও নিজের কথা বলেননি। তিনি জনগণের কথা বলেছেন,বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা বলেছেন।এটি তার ঐতিহাসিক পরিকল্পনা ও মহত্ত্বের নমুনা। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও বৈশিষ্ট্য একজন রাজনীতিবিদকে পরিণত করে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে। সেটি খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন। একজন প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদকে কী ভাষায় কথা বলতে হবে, ভিন্নমতের ব্যাপারে কী ধরনের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার দেখাতে হবে, সম্মান দেখাতে হবে, তার জলন্ত প্রমান বেগম জিয়া।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ৬ আগষ্ট তিনি যখন প্রচণ্ড অসুস্থ অবস্থায় মুক্তি পান, এর পর থেকে তার প্রতিটি আচরণ তাকে শ্রদ্ধার আসনে সমাসীন করেছে। দল-মত-নির্বিশেষে সবাই তার দূরদর্শিতা, প্রাজ্ঞ উদারতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতায় মুগ্ধ হয়েছেন । নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে সব মানুষের হৃদয় জয় করেছেন তিনি। তার সততা, নিষ্ঠা, পরিমিতিবোধ, আচার-আচরণ এবং সংযতবাক এ দেশের সকল শান্তিকামী মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তিনি কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন, কিন্তু সেই সমালোচনা কখনো অসভ্যতা, অন্যায় ও শিষ্টাচারবহির্ভূত হয়নি। অশালীন নোংরামির পর্যায়ে যায়নি। তিনি কখনো জাতীয় নেতাদের অসম্মান করে বক্তব্য দেননি। তিনি সকলকে এ ধারাটি তিনি অব্যাহত রেখেছেন শিখিয়ে গেছেন ভবিষৎ প্রজন্মকে । রাজনীতিতে নিজের অবস্থান আদর্শ থেকে এতটুকু বিচ্যুত না হয়েও যে একজন রাজনীতিবিদ শিষ্ঠাচার মেনে চলতে পারেন, বিনয়ী ও ভদ্রোচিত ভাষায় তীব্র থেকে তীব্র্রতর সমালোচনা করতে পারেন, সেই ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করে গেছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় খালেদা জিয়া-তারেক রহমান ও বিএনপি বিনাশের নীলনকশা। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার বিতর্কিত আদালত কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে কারাবন্দি করেন। সেই থেকে শুরু হয় তার জেলজীবন। জেলে তাকে বিনা চিকিৎসায় জীবননাশের উপক্রম করা হয়। প্রায় দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় পারিবারিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য শর্তসাপেক্ষ মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর দফা-দফায় ছয় মাস করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সাবেক সরকার। তাকে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকরাও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ প্রেরণের সুপারিশ করেন। কিন্তু হাসিনার সরকার সেটি অগ্রাহ্য করে। ২০২৪ সালের আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়। পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য স্বৈরাচারী এরশাদ, হাসিনা ও মইনুদ্দিন, ফখরুদ্দীন সরকার এমন কোনো চক্রান্ত নেই যা করেননি। কিন্তু বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী বেগম খালেদা জিয়া টানা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি নিখাত ভালবাসা খালেদা জিয়াকে সবচেয়ে আপন জনে পরিণত করেছে। তিনি সশস্ত্র হুমকিতেও দেশ ছেড়ে যাননি শুধু বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য। কর্মগুণে, আন্তরিকতায় ও সততায় হয়ে গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্মরণকালের কুখ্যাত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শাসনামলে খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, যে বাড়িতে তার প্রাণপ্রিয় স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া শেষদিন পর্যন্ত জীবনযাপন করেছেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শহীদ মইনুল হোসেন সড়কের বাড়িটি কেবল একটি বাড়ি ছিল না, এটি ছিল ইতিহাসের স্মৃতিময় গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সেই বাড়ি থেকে যখন তাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়, তখনো খালেদা জিয়া কোনো ধরনের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে যাননি। এমনকি বাড়ি নিয়ে নজিরবিহীন অপপ্রচারের জবাবও দেননি। খালেদা জিয়া মূলত এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি একজন আদর্শবান মহীয়সী নারী। জাতির অভিভাবকের মতোই তিনি আচরণ করেছেন সব সময়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বেরিয়ে চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে যান লন্ডনে, সেখানে ঈদ করেন তার পুত্রের সঙ্গে। যুক্তরাজ্য থেকে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে। সেখানেও তিনি কারো ব্যাপারে বিষোদগার করেননি, কোনো রাজনৈতিক বিভক্তির কথা বলেননি, অনৈক্যের কথা বলেননি, ধ্বংসাত্মক কথাবার্তা বলেননি, উসকানিমূলক বক্তব্য দেননি। ঐক্যের কথাই বলেছেন। এটিই একজন আদর্শ কীর্তিমান রাজনীতিবিদের বৈশিষ্ট্য।
একজন রাজনীতিবিদ যে পরিশীলিত ভাষায় কথা বলে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, তার প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া। এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতিতে এখন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। জীবনের ৮০টি বছর পার হলেও এখনো সাধারণ জনগণের মধ্যে এখনো রয়েছে তার বিপুল জনপ্রিয়তা । বিশেষ করে বর্তমান সময় যখন রাজনীতিতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের চরিত্র হননের জন্য অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে, সেই সময় খালেদা জিয়ার মতো সাহসী ও মহীয়সী নারী রাজনীতিবিদ যেন জাতির জন্য এক সূর্যসম আলোকবর্তিকা।আজ সারা বিশ্বব্যাপী যে সুনাম অর্জন করেছেন মৃত্যুবরন বরন করে প্রমান করলেন তিনিই সেরা।
বিশ্লষক এবং রাজনীতিবিদ
মোসলহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ ।
সভাপতি,বিএনপি অস্ট্রেলিয়া ।