বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিশাল নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। ইন্দোনেশিয়ার শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে ,সর্বোচ্চ সতর্কতা ৩০ নভেম্বর থেকে বিভাগীয় সাত শহরে সমাবেশ করবে ৮ দল বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার বলেন , গুপ্ত সংগঠনের লোকজন দিয়ে একটি মহল মশাল মিছিল করছে জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

সুদানে রাস্তায় শত শত লাশ, কবর দেওয়ার কেউ নেই

সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশের শহরে ভয়াবহ সহিংসতার পর রাস্তায় পড়ে আছে শত শত লাশ। কবর দেওয়ার মতো কেউ নেই। শহরটি গত সপ্তাহে দখল করে নেয় আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এ সময় তারা কমপক্ষে ১,৫০০ মানুষকে হত্যা করে।

শুধু একটি হাসপাতালে নিহত হয় প্রায় ৪৬০ জন।জাতিসংঘ জানিয়েছে, শহরটিতে আটকে থাকা সাধারণ মানুষ মারাত্মক বিপদের মধ্যে আছে। অনেকেই নিহত হয়েছেন, আহতরা খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছেন। শহর থেকে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ ৭০ কিলোমিটার দূরের তাভিলা শহরে পালিয়ে গেছেন, যেখানে ইতিমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

হায়াত নামে এক নারী জানান, সাতজন আরএসএফ সদস্য তাদের বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালায় এবং তার ১৬ বছর বয়সী ছেলেকে তার সামনেই হত্যা করে। তিনি বলেন, ‘আমরা রাস্তায় অসংখ্য লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি, আহতদের কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। ’

আরেকজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি হুসেইন বলেন, এল-ফাশেরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। মৃতদেহগুলো রাস্তায় পড়ে আছে, তাদের কবর দেওয়ার মতো কেউ নেই।

অন্যদিকে, তাভিলা শরণার্থী শিবিরে কর্মরত নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল জানায়, পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক কম। তারা আশঙ্কা করছেন, যারা রওনা দিয়েছিল, তাদের অনেকেই পথেই মারা গেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক জানিয়েছেন, দারফুরে ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারের জন্য সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

সুদান বিশেষজ্ঞ শায়না লুইস বলেন, দারফুরে এ হত্যাযজ্ঞ অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই গণহত্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলাম, কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

লুইস আরও জানান, মহাকাশ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্রেও রক্তাক্ত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে—বিশাল এলাকায় লালচে রঙে ঢেকে আছে মাটি এবং মৃতদেহের মতো ছায়া ফুটে উঠছে।
সহিংসতায় জর্জরিত এল-ফাশের শহরে এখনো খাদ্য, পানি ও ওষুধের চরম সংকট। মানবিক সংগঠনগুলো বলছে, এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সূত্র : আল জাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025