শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য জানান। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ চালাতেন সম্রাট। এভাবে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ‘বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ’ উপার্জন করেন। এসব অর্থের উৎস গোপন করার জন্য সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে তিনি সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করতেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। এ ছাড়া একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর এসআই আব্দুল হালিম। এর মধ্যে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অস্ত্র ও ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার বিচার চলছে।
এ ছাড়া ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আসামি সম্রাটের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলাটি বিচারাধীন। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলা করেন। এতে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়