শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ভূমিকম্প আঘাত : নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ,আহত ওনিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারের প্রতি আহবান ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক ভূমিকম্প থেকে রক্ষায় সরকারের এখনই জরুরি করণীয় ঠিক করা উচিত: জাহিদ হোসেন ভূমিকম্পের ক্ষতিরোধে ৬ উদ্যোগ নেবে জামায়াত: ব্যারিস্টার আরমান সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া ‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’ এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

টোল আদায় চুক্তিতে অনিয়ম ৩০৯ কোটি টাকা ক্ষতি, শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের নামে মামলা করবে দুদক

মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায় চুক্তিতে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার অনুমোদনের বিষয়টি রোববার (১২ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।

মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে থাকছেন- সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের ও আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল ও ইবনে আলম হাসান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব হোসেন খান ও মো. আব্দুস সালাম এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, উল্লেখিত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালে সিএনএস লিমিটেডকে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়কারী হিসেবে নিয়োগ দিতে আগের দরপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল করে ‘একক উৎসভিত্তিক দরপত্র’ আহ্বান করা হয়। পরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা না করে শুধু সিএনএসের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ওই দরপত্র অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য টোল আদায়ের চুক্তি করা হয়। এতে টাকার অঙ্কে নয়, বরং মোট আদায় হওয়া টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে (ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত) সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এ চুক্তির আওতায় সিএনএস মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল গ্রহণ করে। কিন্তু আগে ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত একই সেতুর টোল আদায়ের জন্য এমবিইএল-এটিটি (দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান) যৌথভাবে মাত্র ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় কাজ করে। পরে ২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় (ভ্যাট ও আয়করসহ) চুক্তি দেওয়া হয়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে দাঁড়ায় প্রায় ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, সিএনএস তথাকথিত ‘নতুন প্রযুক্তি স্থাপন ও অবকাঠামো ব্যয়’ বাবদ আরও ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি করে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দুদক মনে করছে, সিএনএসকে কার্যাদেশ দেওয়ার ফলে সরকারের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯০ টাকা।

দুদক জানায়, সিএনএসের পরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশে এ অনিয়ম করেছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে দুদক।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025