বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগে ছয় ভারতীয় পাসপোর্টধারী আটক হয়েছেন। পরে তারা এ ধরনের অপরাধ করবেন না এমন মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ ছয়জনকে আটক করে কাস্টমসের কাছে সোপর্দ করে। পরে অভিযুক্তরা শাস্তি হিসেবে দ্বিগুণ হারে ভ্রমণ কর (প্রত্যেকে দুই হাজার টাকা) দিয়ে ছাড়া পান।
তারা হলেন, কলকাতার আহম্মেদ মুসাইন, সগির হোসেন, জিন্নাত খাতুন, রেশমা খাতুন, নুদরাত আরা ও পারভিন শাহিন।
অভিযুক্তরা জানান, তারা ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য এনে বাংলাদেশে বিক্রি করেন। বুধবার তারা আকাশপথে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ফিরছিলেন। ভ্রমণ করের জাল রসিদ তাদের কলকাতা থেকে একজন পাঠিয়েছেন। সীমান্ত পার হওয়ার সময় ভ্রমণকরের রশিদ পরীক্ষা করলে তারা ধরা পড়েন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, পুলিশ চেকপোস্টে নিয়মিত টহলের সময় সন্দেহ হলে ওই পাসপোর্টধারীদের নিয়ে কাস্টমসে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা করে ভ্রমণ করের রশিদগুলো জাল বলে নিশ্চিত করা হয়। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নতুন করে ভ্রমণকর নিয়ে ভারতে পাঠায়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্টধারীদের ভ্রমণ করের রশিদ সঠিক কি না তা পরীক্ষার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নির্দিষ্ট কারও তদারকি নেই। ফলে প্রায়ই ঘটছে কর ফাঁকির ঘটনা। এ ছাড়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মো. সজিব নাজির বলেন, বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণ কর জালিয়াতির একটি শক্তিশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। এ ধরনের একটি গোপন সংবাদ আমাদের কাছে আছে। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আমরা অবহিত করেছি।যোগাযোগ করা হলে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ভ্রমণকর জালিয়াতি চক্র ধরা পড়লেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না।