রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
নাইজেরিয়ার ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০৩ শিক্ষার্থীকে অপহরণ এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থি কাজ বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না:সালাউদ্দীন দলীয় স্বার্থে ইসলামের ব্যাখ্যা দিলে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে:তারেক রহমান আমীর খসরু বলেন ,বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করবে মনগড়া মতবাদে গড়া সমাজ শান্তি-সম্মান দিতে পারবে না: জামায়াত আমির এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া ইসি সচিব নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশকে রেড-ইয়েলো-গ্রিন জোনে ভাগ করা হবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত নেতাদের সাক্ষাৎ শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে ফের চিঠি

ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে : মিশর

ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত করার আহ্বান জানিয়েছে মিশর।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি।

বৈঠকে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আরব দেশগুলো গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা একেবারেই মেনে নেবে না।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, তবে কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা যাবে না।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ট্রাম্পের পরিকল্পনার নাম সরাসরি না নিলেও, রুবিও গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেওয়া যাবে না এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

আবদেলাত্তি জানান, মিশর নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, তবে সেটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষার ভিত্তিতে হতে হবে। তিনি মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং একই বার্তা দেন।

 

ফিলিস্তিনিরা গাজাকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখে, তাই তাদের জন্য গাজা ছাড়ার প্রস্তাব একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আরব প্রতিবেশী দেশগুলোও এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে যে, তারা গাজার সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে রাজি নয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে মিশর ও জর্ডান যেন গাজার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করে। পরে তিনি আরও এগিয়ে গিয়ে গাজার ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে ফেরার কোনো অধিকার থাকবে না।

এই পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এটিকে জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025