রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
হাদি হত্যাকাণ্ড বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত: সালাহউদ্দিন শহীদের জন্য যে দোয়া পড়বেন আল্লাহ ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন: মোনাজাতে হাদির ভাই টিনশেডের ঘর থেকে তরুণদের আইকন, কে এই ওসমান হাদি? ওসমান হাদি হত্যার দ্রুত-স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘হাদি, হাদি’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম নিশ্চয়ই আসমানে এর চেয়ে বড় রাজকীয় অভ্যর্থনার আয়োজন চলছে:আজহারী প্রিয় হাদি, তুমি আমাদের বুকের মধ্যে আছো: প্রধান উপদেষ্টা হাদিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, হয়ে উঠলেন সার্বভৌমত্বের বড় প্রতীক:ধর্ম উপদেষ্টা কবি নজরুলের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ওসমান হাদি

শহীদের জন্য যে দোয়া পড়বেন

মহানবীর (সা.) প্রিয় সাহাবি আবু সালামা (রা.) শহীদ হওয়ার পর তিনি যখন তাকে দেখতে যান, তখন তিনি তার জন্য এভাবে দোয়া করেন,

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَبِي سَلَمَةَ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ ‏وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লিআবি সালামাহ ওয়ারফা’ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী আক্বিবিহী ফিল গাবিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আলামীন। ওয়াফসাহ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাওয়ির লাহু ফীহি।

অনুবাদ: হে আল্লাহ! আপনি আবু সালামাকে মাফ করে দিন, হেদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা বুলন্দ করে দিন এবং তার উত্তরাধিকারীদের মধ্য থেকে তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করুন। হে রাব্বুল আলামীন! আমাদেরকে ও তাকে মাফ করে দিন তার জন্য কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার কবরকে আলোকময় করে দিন। (সহিহ মুসলিম: ২০০২)

মহানবীকে (সা.) অনুসরণ করে শহীদদের জন্য এবং যে কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য আমরা উপরোক্ত দোয়াটি পড়তে পারি এভাবে,

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ‏ وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লাহু ওয়ারফা’ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যিন ওয়াখলুফহু ফি আকিবিহি ফিল গাবিরিনা ওয়াগফির লানা ওয়া লাহু ইয়া রাব্বাল আলামিন। ওয়াফসাহ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাওয়ির লাহু ফীহি।

অর্থ: হে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন। আপনি তার বংশধরদের অভিভাবক হয়ে যান। হে রাব্বুল আলামিন তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। তার কবরকে প্রশস্ত করুন এবং তা আলোকজ্জ্বল করে দিন।

সাহাবি আবু সালামার (রা.) মূল নাম আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল আসাদ, আবু সালামা তার উপনাম। তিনি ছিলেন মহানবীর (সা.) ফুফাতো ভাই; মহানবীর (সা.) ফুফু বাররা বিনতে আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান। তিনি মহানবীর (সা.) দুধ ভাইও ছিলেন।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বলা হয় দশজন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পরই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার কাফেরদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি তার স্ত্রী উম্মে সালামাকে (রা.) নিয়ে হাবাশায় হিজরত করেছিলেন। পরে তিনি আবার মক্কায় ফিরে আসেন এবং পরবর্তীতে মদিনায় হিজরত করেন।

দ্বিতীয় হিজরিতে মক্কার কাফেরদের বিরুদ্ধে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদের যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং বাহুতে আঘাত পান। চতুর্থ হিজরির জুমাদাল উখরা মাসে ওহুদ যুদ্ধের প্রায় আট মাস পর ওই আঘাতের কারণেই তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তার শাহাদাতের পর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং তার জন্য দোয়া করেন।

উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মৃত আবু সালামার (রা.) কাছে গেলেন, তখন তার চোখগুলো খোলা ছিল। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার চোখ বন্ধ করে দিলেন এবং বললেন, রুহ যখন নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চোখ সেদিকে অপলক তাকিয়ে থাকে। এ কথা শুনে তার পরিবারের লোকেরা উচ্চৈস্বরে কেঁদে উঠলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আপনারা নিজেদের জন্য অমঙ্গলজনক কোনো দোয়া করবেন না। ফেরেশতাগণ আপনাদের দোয়ায় আমিন বলে থাকেন। তারপর তিনি উপরোক্ত দোয়া পড়লেন। (সহিহ মুসলিম: ২০০২)

এ হাদিস থেকে আরও বোঝা যায় মৃত ব্যক্তির চোখ খোলা থাকলে বন্ধ করে দেওয়া উচিত এবং কেউ মারা গেলে তার শোকে আকুল হয়ে নিজের জন্য বদদোয়া করা উচিত নয়। এ রকম দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025