রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, তারা ওসমান হাদিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল; আর তিনি হয়ে উঠলেন আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে বড় প্রতীকে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সংসদ ভবন এলাকায় শরিফ ওসমান ওসমান হাদির জানাজার আগে বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে শাহাদতের মর্যাদা দান করেন এবং তার জীবনের ত্রুটি-বিচ্যুতি আল্লাহ তায়ালা মার্জনা করেন। আল্লাহ তার কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের টুকরা বানিয়ে দেন। তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন—আধিপত্যবিরোধী একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন—তার সেই স্বপ্ন পূর্ণতা দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে তৌফিক দান করুন।
উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে আজ কাঁদছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে সব মসজিদে আমাদের ভাই শরিফ ওসমান হাদির জন্য দোয়া, খতমে কোরআন ও জিকির আজকার সম্পন্ন হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করা ওসমান হাদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন জানিয়ে খালিদ হোসেন বলেন, তার ক্ষুরধার যুক্তি, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও দৃঢ়তা দিয়ে তিনি দেশকে ভালোবেসেছেন। ‘জান দেব কিন্তু জুলাই দেব না’—এই স্লোগান বুকে ধারণ করা হাদি ছিলেন গুম, খুন ও বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জুলাই পরবর্তী সবচাইতে তীব্র কণ্ঠস্বর। নতুন বাংলাদেশের ন্যারেটিভ নির্মাণে শরিক হওয়ার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার।