শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

ঢাকাতে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত

রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, ভূমিকম্পটি হালকা মাত্রার ছিল।

সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৩৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

ভূমিকম্পের তথ্য প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে এবং নরসিংদীর ৩ কিলোমিটার উত্তরে।

এর আগে, সোমবার মধ্যরাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মিনজিনে।

চট্টগ্রামসহ দেশের কিছু অংশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।তার আগে, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্প হয়। ওই দিন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে।

ওই দিন ভোরের দিকে সিলেটে এবং কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়।এর আগে ২১ নভেম্বর এবং পরদিন ২২ নভেম্বর প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে দেশে ১০ জন নিহত হন। আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ।

বেশির ভাগ ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল নরসিংদী। এই এলাকা হলো বার্মা প্লেট এবং পশ্চিমেরটি ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল বা সাবডাকশন জোন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025