মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার একদিনের মাথায় ৫০ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এসময় ঘোষিত কমিটিকে ‘অবৈধ ও একতরফা’ বলে দাবি করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে ২০৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে মুনতাছির মেহেদী হাসানকে আহ্বায়ক, মাসুদ রানাকে সদস্যসচিব, সালমান জোয়ারদারকে মুখ্য সংগঠক এবং রাজিয়া ভূঁইয়া রাজিতাকে মুখপাত্র করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগের আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত না করেই গোপনে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন এ কমিটির বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি, যা সংগঠনের গণতান্ত্রিক নীতি ও চর্চার পরিপন্থি। শুধু তাই নয়, কমিটিতে যেসব ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নারী-সংক্রান্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদক সংশ্লিষ্টতা ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে একই কমিটিতে থাকা তাদের নীতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থি বলেই তারা পদত্যাগ করেছেন।
তাদের দাবি, ঘোষিত অবৈধ কমিটি বাতিল করে পুনরায় আলোচনা সাপেক্ষে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় পদত্যাগের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তারা।
এসময় পদত্যাগ করা নতুন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসির আরাফাত ইশান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, টি এম মুশফিক সাদ, রাহাত তালুকদার, সাদমান জাহিন, আধাম আদৃত, সংগঠক যুবায়ের আল ইসলাম সেজান, সিনিয়র সহ-মুখপাত্র সাদিয়া আহমেদ সিনহা ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আঞ্জারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মুনতাছির মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কমিটি থেকে পদত্যাগের সংখ্যা ৫০ জন বলা হলেও বাস্তবে সংবাদ সম্মেলনে ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন।