মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিআইপি) ঘোষণা শিগগির দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর প্রতি দোয়ার আহ্বান জামায়াতের চোরাগলিতে হাঁটার চিন্তা করলে আরেকটা ৫ আগস্ট হবে: জামায়াত আমির সেন্টার দখল করে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন, সেদিন ভুলে যান: চরমোনাই পীর হাটহাজারীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তরুণ নিহত খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ারে বিদেশি মেডিকেল টিম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত তথ্যে ডা. জাহিদ ছাড়া অন্য কারো বক্তব্য নয়: বিএনপি তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে : আইন উপদেষ্টা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ হলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে’

শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১২৩

শ্রীলঙ্কায় বন্যা এবং ভূমিধসে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র শনিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহর প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় শ্রীলঙ্কাজুড়ে এখন পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। খবর এএফপির।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মহাপরিচালক সম্পথ কোতুওয়েগোদা জানিয়েছেন, সপ্তাহব্যাপী ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে ৪৩ হাজার ৯৯৫ জনকে রাষ্ট্রীয় কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।

কোতুওয়েগোদা কলম্বোতে সাংবাদিকদের বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। সোমবার থেকে আবহাওয়া নেতিবাচক প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। বুধবার একটি ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাত হানায় দ্বীপজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শনিবার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ কলম্বো থেকে ভারত মহাসাগরে প্রবাহিত কেলানি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কেলানি নদীর পানি বেড়ে গেছে। ফলে শত শত মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে।রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অংশে বৃষ্টিপাত কমে গেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার প্রভাবের কারণে দ্বীপের উত্তরের কিছু অংশে এখনো বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির সরকারি অফিস ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল দুর্যোগের কারণে দেশের কিছু অঞ্চলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভারি বৃষ্টিতে সার্বিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়ক পানিতে ডুবে যায়। নদী ও জলাধার থেকে পানি উপচে পড়ায় আন্তঃজেলার বেশ কিছু সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।

বদুল্লায় ভূমিধসে একটি মহাসড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার দৃশ্য স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে রেললাইনজুড়ে পাথর, কাদামাটি ও গাছপালা পড়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। কিছু এলাকায় রেললাইন প্লাবিত হয়েছে।

এর আগে জুন মাসে আবহাওয়াজনিত কারণে ২৬ জন মারা যায় এবং বন্যা ও ভূমিধসে গত ডিসেম্বরে ১৭ জন প্রাণ হারান।দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল ২০০৩ সালের জুনে। ওই বন্যায় ২৫৪ জনের মৃত্যু হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025