বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাচাইবাছাই করে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। একটি মহল সেই সিদ্ধান্তকে মানতে পারছে না। তারা গুপ্ত সংগঠনের লোকজন দিয়ে মশাল মিছিল করিয়ে প্রার্থী পরিবর্তন করতে চায়। সেই গুপ্ত সংগঠন আমাদের ওই বিশৃঙ্খলাকারীদের সঙ্গে নিয়ে বিভাজনের চেষ্টা করছে।’
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ফটিকছড়ির নাজিরহাটে ধানের শীষের সমর্থনে আয়োজিত গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সরওয়ার আলমগীর বলেন, ‘ফটিকছড়িবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ওই গুপ্ত সংগঠনকে এখানে জায়গা দেওয়া হবে না। তারেক রহমান আমাদের ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন, তৃণমূলকে উপহার দিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করার মাধ্যমে এই আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দেওয়া।’
এলাকাবাসীর উদ্দেশে বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের সরওয়ার আলমগীরকে চেনেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদেরও চেনেন। বিধায় আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন। তারেক রহমান যদি প্রধানমন্ত্রী হন, ফটিকছড়ির জন্য সর্বোচ্চ কাজ করবো। ফটিকছড়ির ১৮টি চা বাগান ও দুটি রাবার বাগানের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবো। এই এলাকায় একটি শিল্প জোন গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। এখানকার তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।’
সরওয়ার আলমগীর আরও বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের জায়গা নেই। আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।’
নাজিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক এজাহার মিয়ার সভাপতিত্ব ও সদস্যসচিব শাহনেওয়াজ সেবুলের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ হয়। এতে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব নাজিমুদ্দিন শাহীন, ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মনসুর আলম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।