বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিশাল নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। ইন্দোনেশিয়ার শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে ,সর্বোচ্চ সতর্কতা ৩০ নভেম্বর থেকে বিভাগীয় সাত শহরে সমাবেশ করবে ৮ দল বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার বলেন , গুপ্ত সংগঠনের লোকজন দিয়ে একটি মহল মশাল মিছিল করছে জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

গাজা যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

গাজা যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়া’য়াল জামির।

তিনি বলেন, হামাস যতদিন পর্যন্ত মৃত সব ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেবে, ততদিন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে না।

সোমবার জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পদমর্যাদার ইউনিট কমান্ডারদের সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জামির বলেন, “আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।

আমরা একটা পবিত্র মিশনে আছি এবং এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য দু’টি— গাজা নিহত সব ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা এবং হামাসের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখা। ”তিনি  বলেন, “আইডিএফ অতীতকে কাঁধে নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকায়। যা আমাদের নৈতিক ও পেশাগত কর্তব্য, আমরা অবশ্যই তা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করব। ”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের অধিক। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পেশ করেন। ইসরায়েল এবং হামাস সেই পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়।

ট্রাম্পের ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত পরিকল্পনাটি তিন স্তরের। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম স্তরে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মি ও মৃত জিম্মিদের মরদেহ/দেহাবশেষ হস্তান্তর করবে হামাস।

সেই শর্ত অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত নিজেদের কব্জায় থাকা জীবিত ২০ জন জিম্মির সবাইকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তবে সমস্যা শুরু হয়েছে মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া নিয়ে।

হামাসের ভাষ্য অনুযায়ী, ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি মারা গেছেন এবং তাদের সবার মরদেহ কোথায় আছে— তা গোষ্ঠীটির বর্তমান হাইকমান্ড জানে না।

গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, যারা এই তথ্য জানত— তারা আইডিএফের অভিযানের সময় নিহত হয়েছে।তবে আইডিএফ এ যুক্তি মেনে না নিয়ে হামাসের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলের তথ্যানুসারে, ২৮ মৃত জিম্মির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ/দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে হামাস; এখনও বাকি আছে ১৩ জন। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025