বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
দেশ এগিয়ে গেলে মা-বোনদের ভয়ে বসবাস করতে হবে না: তারেক রহমান চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে গোপন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: জামায়াত নেতা শাহজাহান তারেক রহমানের জন্মদিন আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বচওয়ের বাংলাদেশ সফর ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

সারজিস আলম- সরকার দায়সারাভাব দেখিয়েছে, তাই আমরা জুলাই সনদের অনুষ্ঠানে যাইনি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়সারাভাব দেখিয়েছে। তাই আমরা জুলাই সনদ সাক্ষরের অনুষ্ঠানে অংশ নিইনি।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্লিয়ার না করে যখন তাড়াহুড়ো করে দায়সারা সাক্ষর করা হয়, তখন আমাদের মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের যে আকাঙ্খা, সেফটি না দিয়ে নিজেদের সেফটির কথা বারবার ভাবছে। কীভাবে দায়সারাভাবে এটা পার করা যায়, নির্বাচনের দিনটাতে যাওয়া যায়, তারা সেটা নিয়ে চিন্তিত।’

‘সেফ এক্সিট’ মানে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে এমন না উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এখানে সেফ এক্সিট দেখা গেছে, কোনোমতে জুলাই সনদ নামকাওয়াস্তে সাক্ষর করে নির্বাচনের দিকে যেতে পারলেই হলো। এতে সংস্কার হোক আর না হোক, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকুক আর নাই থাকুক, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার তা বাস্তবায়ন করুন আর না করুক; তাদের কাজ কোনোমতে সাক্ষর করে যেতে পারলেই হলো।’

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা তো তাদের কাছে নতুন করে কিছু চাইনি। এই সনদে আমরা চেয়েছি প্রধান উপদেষ্টা এটার আদেশ জারি করবেন। আমরা ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জারি অ্যাগ্রি করি না। আমাদের আহ্বায়ক অনেক আগে থেকেই বলেছেন, আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি, ঘোষণাপত্রেও ছাড় দিয়েছি। ঘোষণাপত্র নামকাওয়াস্তে একটা রিটেন পেপার হয়ে বসে আছে, কোনো কার্যকরিতা আমরা দেখছি না। এরকম যদি সনদের ক্ষেত্রে হয়, তাহলে দেখা যাবে কিছুদিন পর অভ্যুত্থানটাই নাই। আবার কিছুদিন পরে দেখা যাবে এই অভ্যুত্থানে যারা যোদ্ধা ছিল, তাদেরকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন কায়দায় অভিযুক্ত করে একেকজনকে মামলা দেওয়া হবে। এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ সাক্ষরের অনুষ্ঠানে অতিথিদের আসনে থাকার কথা ছিল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের। কিন্তু আমরা দেখলাম, একটা রাজনৈতিক দলের চুক্তির মিলনমেলা। না এখানে কোনো জুলাই যোদ্ধা বা শহীদ পরিবারের জন্য মর্যাদার আসন আছে, না কোনো ব্যবস্থা আছে। একটা পরিস্থিতিতে তাদের নিজের একটা ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সেখানে দেখিয়েছে। কিন্তু এটাকে অন্তবর্তী সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে হোক বা নিজেরাই বলেন, অন্যভাবে ডিল করতে পারতো। কিন্তু তারা যেভাবে সেখানে লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারসেল ছুড়েছে, রাবার বুলেট ছুড়েছে; এগুলো খুবই অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজন। এই কালচারগুলো আমাদের যারা জুলাইয়ের যোদ্ধা ছিল, তাদের সঙ্গে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025