রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ছয় বছর আগে ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান নির্মিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ‘মতপ্রকাশ থেকে মৃত্যু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের বিস্তার ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করার কারণে আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছিলেন মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজকের যে আবরার ফাহাদের প্রসঙ্গ, সেটি তাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এটি শুধু একটি রিজিয়নাল হেজিমনি বলে এক শব্দে বিশ্লেষণ করা যাবে না। যেটিকে আগ্রাসন অথবা আধিপত্যবাদ বললেও বিশ্লেষণ করা যাবে না। ঐতিহাসিকভাবে এ তথ্যটা বিশ্লেষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব নীতিতে সবার আগে এই তিনটি শব্দ থাকতে হবে—স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশের স্বার্থ। তাহলেই বাংলাদেশ পথ হারাবে না।
আলোচনা সভায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ভারতের সঙ্গে করা সব দেশবিরোধী চুক্তি, অন্যায্য পানিবণ্টন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন আবরার ফাহাদ। এজন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আবরার ফাহাদকে যেদিন হত্যা করা হয়, সেদিন আমরা সবার আগে খবর পেয়েছিলাম এবং আমরা প্রথম প্রতিবাদ করেছিলাম। সেদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাদের প্রতিবাদ চলেছিল।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতিতে নতুন নই। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা রাজনীতি করেছি। অথচ আমরা দেখছি, ছাত্ররাজনীতিতে যাদের কোনো অবদান নেই, তারাই আজ ছাত্ররাজনীতি কীভাবে চলবে তার নীতিনির্ধারক হতে চায়।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, কেউ যদি সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা জারি রেখে নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে চায়, তাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি—আমরা এখনো রাজপথে আছি। আমরা যতদিন আবরার ফাহাদকে স্মরণ করবো, গুপ্ত রাজনীতিকেও স্মরণ করিয়ে দেবো।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।