রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত নৈশভোজে শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার এবং দেশে চলমান সংস্কার প্রচেষ্টার ওপর একটি উচ্চপর্যায়ের সংলাপে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী তিন দলের ছয় রাজনৈতিক, বাংলাদেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সংলাপে শ্রম আইন, শ্রমিকের অধিকার এবং চলমান সংস্কার নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস শ্রম সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এসব সংস্কার বাংলাদেশে ব্যাপক বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান উপদেষ্টার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের আগে তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা প্রত্যেকে তৈরি পোশাক শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং শ্রম খাতের সংস্কার অব্যাহত রাখার পক্ষে সমর্থন জানান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তৈরি পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন জানান এবং নির্বাচিত হলে এসব সংস্কারকে জামায়াতে ইসলামী এগিয়ে নেবে বলে জানান ডা. তাহের।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র নেতা ডা. তাসনিম জারা বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি তার রাজনৈতিক যাত্রার একটি নির্ধারক মুহূর্ত ছিল। সে সময় তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আহতদের সেবা দিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই ঘটনাই তাকে রাজনৈতিকে রূপ দিয়েছে। তিনি অনিরাপদ শ্রমচর্চার মানবিক মূল্য ও সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দেন।
রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে একটি সাধারণ বিষয় উঠে আসে-বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সবসময় যেন ক্রেতাই শর্ত নির্ধারণ না করে।
সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস অর্থবহ এবং স্থায়ী শ্রম সংস্কার বাস্তবায়ন করতে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সূত্র : বাসস।