রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
শত্রু থেকে মিত্র’ ট্রাম্প-মামদানির সম্পর্ক তাহলে কি বদলে গেলো? আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীদের বিচারের দাবিতে এনসিপির গণমিছিল রাজনৈতিক কোনো জোট করবো না, নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতা হবে: জামায়াত আমির সন্ধ্যায় ঢাকা ও আশপাশে দুইবার ভূমিকম্প ঢাকায় সকালের পর সন্ধ্যায় ফের ভূমিকম্প নরসিংদীজুড়ে ভূমিকম্পের চিহ্ন, ফেটে ৭-৮ ইঞ্চি ফাঁকা হয়ে গেছে মাটি নিয়ম মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে: জামায়াত আমির গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত: মির্জা ফখরুল আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে: জামায়াত আমির শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

শ্রম সংস্কার ব্যাপক বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : প্রধান উপদেষ্টা

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত নৈশভোজে শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার এবং দেশে চলমান সংস্কার প্রচেষ্টার ওপর একটি উচ্চপর্যায়ের সংলাপে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী তিন দলের ছয় রাজনৈতিক, বাংলাদেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সংলাপে শ্রম আইন, শ্রমিকের অধিকার এবং চলমান সংস্কার নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।

আলোচনায় আইএলও মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন জাতিসংঘ সংস্থার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। তাঁরা শ্রম খাত সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির উন্নতির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ইউনূস শ্রম সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এসব সংস্কার বাংলাদেশে ব্যাপক বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অংশগ্রহণকারীরা শ্রম সংস্কারের বৃহত্তর তাৎপর্য নিয়ে মন্তব্য করেন এবং এটির বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ ও আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপর প্রভাব নিয়ে মতামত দেন।

প্রধান উপদেষ্টার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের আগে তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা প্রত্যেকে তৈরি পোশাক শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং শ্রম খাতের সংস্কার অব্যাহত রাখার পক্ষে সমর্থন জানান।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তৈরি পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারকে অবশ্যই এ খাতের প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার এবং আইএলও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তার দলের বহু সদস্যের তৈরি পোশাক শিল্পে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ অভিজ্ঞতা শিল্পখাতকে কীভাবে আরও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক করা যায়, সে সম্পর্কে তাদের মূল্যবান জ্ঞান দেয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন জানান এবং নির্বাচিত হলে এসব সংস্কারকে জামায়াতে ইসলামী এগিয়ে নেবে বলে জানান ডা. তাহের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীরও বর্তমান শ্রম সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ প্রচেষ্টা শুধু অব্যাহতই নয়, বরং ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হওয়া উচিত।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র নেতা ডা. তাসনিম জারা বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি তার রাজনৈতিক যাত্রার একটি নির্ধারক মুহূর্ত ছিল। সে সময় তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আহতদের সেবা দিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই ঘটনাই তাকে রাজনৈতিকে রূপ দিয়েছে। তিনি অনিরাপদ শ্রমচর্চার মানবিক মূল্য ও সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দেন।

রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে একটি সাধারণ বিষয় উঠে আসে-বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সবসময় যেন ক্রেতাই শর্ত নির্ধারণ না করে।

সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস অর্থবহ এবং স্থায়ী শ্রম সংস্কার বাস্তবায়ন করতে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

সূত্র : বাসস।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025