রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
ঢাকার টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শতভাগ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এ নিয়ে টঙ্গীর কেমিক্যাল দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজন মারা গেলেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তালহা বিন জসিম জানান, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টঙ্গীতে রাসায়নিকের একটি গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে দুজন ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও নুরুল হুদার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শামীম আহমেদ গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মারা যান। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন আরেক ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও।
নুরুল হুদা টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ তিনি ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক ছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় এসেছেন সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. চং সি জ্যাক। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। আহতদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক।
২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত সাহারা মার্কেটের রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের চারজন সদস্য দগ্ধ হন। তারা হলেন ১০০ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও নুরুল হুদা। ৪২ শতাংশ দগ্ধ অফিসার খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ও ৫ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার জয় হাসান। বর্তমানে ৪২ শতাংশ দগ্ধ অফিসার খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ও ৫ শতাংশ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার জয় হাসানের চিকিৎসা চলছে বার্ন ইনস্টিটিউটে