মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ইরানের হামলায় জ্বলছে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার, নিহত ৩ জি-৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরলেন ট্রাম্প এবং রুবিও:ইসরায়েল-ইরান সংঘাত খামেনিকে হত্যা করলে সংঘাত শেষ হবে: নেতানিয়াহু নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে হবে: সারজিস উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া, সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি: আসিফ মাহমুদ গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ইরানের আকাশেই তাদের দুই যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের তেহরানের পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণ এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়: তারেক রহমান

প্রথমবারের মতো চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথমবারের মতো কূটনৈতিক আলোচনায় দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে টেলিফোন আলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় উভয় পক্ষ দুই দেশের নেতৃত্বের নির্ধারিত দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ওয়াং-ই আশা প্রকাশ করেন, মার্কো রুবিও এমন ভূমিকা পালন করবেন যা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

রুবিও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় যা আমেরিকার জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে।

 

আলোচনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, তাইওয়ান ইস্যু, এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কো রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের জবরদস্তিমূলক নীতির বিষয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন।

চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি চীনের ভূখণ্ড থেকে আলাদা করার কোনো চেষ্টাই মেনে নেওয়া হবে না।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্পর্কের দিকনির্দেশনা ও সুর নির্ধারণ করেছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব সেই দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পার্থক্যগুলো ব্যবস্থাপনা করা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করা।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনালাপে কৌশলগত যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প তার ভাষণে জানান, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়তে চায় এবং রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে চীনের সহযোগিতা আশা করে।

 

ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন এবং এ বছরই চীন সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে অতীতের মতো বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে উত্তেজনা পুনরায় সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি এখনও রয়েছে।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024