সোমবার, ০৭ Jul ২০২৫, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী গাজায় গণহত্যার বিরোধিতা: যুক্তরাজ্যে ৮৩ বছরের ধর্মযাজক গ্রেফতার লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শহীদ নারীযোদ্ধাদের পরিবার যেন হারিয়ে না যায়: উপদেষ্টা শারমিন হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ ইসলামি এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় আসার আহ্বান ড. ইউনূসের পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১ ,ধ্বংসস্তূপে চলছে জীবিতদের সন্ধান গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি

হঠাৎ মৃত্যু থেকে বাঁচতে ইসলামের নির্দেশনা

মৃত্যু এক চিরন্তন বাস্তবতা। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবার জন্য অবধারিত সুনিশ্চিত এই মৃত্যু। মৃত্যুর থাবা থেকে কেউই রেহাই পাবে না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা সবাই চাই মৃত্যুটা যেন সুন্দর হয়।

উত্তম প্রস্থান সবার কাম্য। চিরবিদায়ের সূচনাটা যেন প্রশান্তিকর হয়- জীবনজুড়ে একজন মুমিনের এটাই মৌলিক কামনা। কিন্তু সবার মৃত্যু এক রকম হয় না। আমরা আমাদের চারপাশে প্রায়ই হঠাৎ মৃত্যুর চিত্র দেখতে পাই।
নিঃসন্দেহে এটি দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক। হঠাৎ মৃত্যু একটি ভয়ানক আজাবের নাম। উবায়দ ইবন খালিদ সালামি (রা.) থেকে বর্ণিত, যিনি নবী করিম (সা.)-এর সাহাবি ছিলেন। তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, হঠাৎ মারা যাওয়া আল্লাহর গজবের পাকড়াওস্বরূপ, যাতে সে তওবার সুযোগ না পায়।
(আবু দাউদ)। 

কিয়ামতের আগে হঠাৎ মৃত্যুর পরিমাণ বেড়ে যাবে। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেন, “কিয়ামতের একটি আলামত হলো, ‘হঠাৎ মৃত্যু’ প্রকাশ পাওয়া” (তাবারানী)। হঠাৎ মৃত্যু, মন্দমৃত্যুসহ সব ধরনের অপমৃত্যু থেকে বাঁচার উপায় কী? এ বিষয়ে ইসলামে কী নির্দেশনা রয়েছে? এ নিবন্ধে আমরা তা আলোচনা করব।

 

এক. অধিক পরিমাণে হঠাৎ মৃত্যু থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে দুআ করা। রসুল (সা.) সব ধরনের মন্দমৃত্যু থেকে বাঁচতে অধিক পরিমাণে আল্লাহর কাছে দুআ করতেন। হজরত আবুল ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) আল্লাহর দরবারে এভাবে দুআ করতেন- ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই গহ্বরে পতিত হয়ে মৃত্যুবরণ থেকে, আমি আপনার কাছ থেকে আশ্রয় চাই পানিতে ডুবে ও আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ থেকে এবং অতি বার্ধক্য থেকে। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই মৃত্যুকালে শয়তানের প্রভাব থেকে, আমি আশ্রয় চাই আপনার পথে জিহাদ থেকে পলায়নপর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মৃত্যুবরণ থেকে’ (সুনানে নাসায়ী, সুনানে আবু দাউদ)। কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়, রসুল (সা.) এভাবে দুআ করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি মন্দমৃত্যু ও হঠাৎমৃত্যু থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। ’

দুই. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নবীজি (সা.)-এর শেখানো দুআ পড়ে নেওয়া। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। রাস্তাঘাটে চলাচল করতে হয়। এমতাবস্থায় নিরাপত্তার বিকল্প নেই। নিম্নোক্ত দুআটি পড়লে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যায়।

আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রসুল (সা.) বলেছেন, “যদি কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। ” অর্থ : আল্লাহর নামে, আল্লাহতায়ালার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারও নেই। তবে তাকে বলা হয় (আল্লাহতায়ালাই) তোমার জন্য যথেষ্ট, তুমি হেফাজত অবলম্বন করেছ (অনিষ্ট থেকে)। তাতে শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায় (তিরমিজি)।

তিন. নিয়মিত দান-সদকা করা। দান-সদকা মানুষকে আল্লাহর ক্রোধ ও মন্দমৃত্যু থেকে বাঁচায়। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই দান-সদকা আল্লাহর রাগকে নির্বাপিত করে এবং মন্দমৃত্যু থেকে বাঁচায়’ (জামে তিরমিজি)।

সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অপমৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। কখন কী হয় বলা মুশকিল। আসুন, আমরা সবাই হঠাৎ মৃত্যু থেকে বাঁচতে ইসলামপ্রদত্ত নির্দেশনাগুলো মেনে চলি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে হঠাৎ মৃত্যু, মন্দমৃত্যুসহ সব ধরনের অপমৃত্যু থেকে হেফাজত করুন।

লেখক : খতিব, আউচপাড়া জামে মসজিদ টঙ্গী, গাজীপুর

 

Please Share This Post in Your Social Media

১২

আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন সভায় ইন্দোনেশিয়ার ‘প্রসপারাস জাস্টিস পার্টি’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদীয় দলের প্রধান ড. এইচ. জাজুলি জুওয়াইনি এবং একই দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল ড. দানাং আজিজ আকবারোনা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ার এশিয়ান ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (AFPAD)-এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ আজমান বিন সৈয়দ আহমাদ নওয়াবি, জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট (JDF)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং International Institute of Advanced Islamic Studies-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফাইয বিন মোহাম্মদ নওয়ি সভায় অংশ নেন। এছাড়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা বিন ওসমানও সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মুসলিম বিশ্বের ছাত্র ও যুবসমাজের অভিন্ন স্বার্থ, শিক্ষাব্যবস্থা, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং নেতৃত্ব বিকাশে যৌথ কার্যক্রম ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশ্বাস করেন, একযোগে কাজ করলে মুসলিম তরুণ সমাজকে আধুনিক ও নৈতিক নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। Jagonews24 Google News Channel জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল। সভায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামসহ কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েটের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

© All rights reserved © 2024