বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহর নিউইয়র্কে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন জোহরান মামদানি। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এই মুসলিম রাজনীতিক শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রায় ৮৪ লাখ জনসংখ্যার শহরটির নেতৃত্বে আসীন হয়ে মামদানি এক ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত, এবং আফ্রিকা জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন। তার এই বিজয় শুধু নিউইয়র্ক নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি পূর্বে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান নেতা কার্টিস স্লিওয়া।
বিজয়ের পর মামদানি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের বিশ্বাস ও সহযোগিতার কারণেই আজ এই শহরে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে।” যদিও বিজয়োৎসবের আনুষ্ঠানিক ভাষণ নির্ধারিত ছিল মঙ্গলবার রাতে ব্রুকলিনের প্যারামাউন্ট থিয়েটারে, তবে তিনি আগেই সামাজিক মাধ্যমে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান।
বহুজাতিক ও বহুধর্মীয় এই শহরের অনেক ভোটার মামদানির জয়কে সামাজিক অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে তার সমর্থকদের মতে, এই জয় ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের নয়, বরং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোসহ সাধারণ মানুষের বাস্তব সমস্যা নিয়ে তার মনোযোগী প্রচারণারই ফল।
আল জাজিরা বলছে, এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণেও ভূমিকা রাখবে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো যেখানে ধনী দাতাদের প্রভাবিত ‘পুরোনো ধারার’ রাজনীতির প্রতীক ছিলেন, সেখানে নিজেকে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি প্রতিনিধিত্ব করছেন নতুন প্রজন্মের প্রগতিশীল ভাবধারার।