বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিশাল নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। ইন্দোনেশিয়ার শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে ,সর্বোচ্চ সতর্কতা ৩০ নভেম্বর থেকে বিভাগীয় সাত শহরে সমাবেশ করবে ৮ দল বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার বলেন , গুপ্ত সংগঠনের লোকজন দিয়ে একটি মহল মশাল মিছিল করছে জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ব্যক্তি সর্বস্ব সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কাজ করছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরগুনায় এনসিপির দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, সেখানে বিএনপি পক্ষ থেকে একজন, জামাতের পক্ষ থেকে একজন, আর্মি থেকেও একজন দেওয়া হয়েছে। তার মানে নির্বাচন কমিশনকে ভাগাভাগি করে নেয়া হয়েছে। যারা বিএনপিপন্থি নির্বাচন কমিশনার আছে তারা বিএনপির কাজ করছে, যারা জামাতপন্থি তারা জামায়াতের এবং যারা আর্মির আছেন তারা আর্মির পক্ষে কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অসংখ্য চাকরিজীবী রয়েছে, তাদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। দিনশেষে আমরা এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট ছিলাম, আমরা আমাদের কোনো অবস্থান পরিবর্তন করিনি। নির্বাচন কমিশন নিজের মতো করে স্বেচ্ছাচারীভাবে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।

শাপলা প্রতীক বিষয়ে তিনি বলেন, এনসিপি তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। আমাদের প্রতীক নিয়ে আমরা স্পষ্ট অবস্থানে ছিলাম। শাপলা প্রতীক না দিলে আইনগত লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যাহীন সিদ্ধান্ত দেশের জন্য ভালো না।

জুলাই সনদ ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছিলাম আমাদের যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে তা আমাদের দেখাতে হবে। তারা না দেখে স্বাক্ষর কেনো করলো? তাদের কী আগে দেখা উচিত ছিল না? আমরা তো বলেছি আমাদের আগে দেখাতে হবে, কে ঘোষণা দিবে সেটা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেটা অর্ডার জারি করতে হবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা না পড়ে অবিবেচনা প্রসূত স্বাক্ষর করিনি। আমাদেরকে তখন বিভিন্নভাবে দায়ী করা হয়েছে যে আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে চাই। কিন্তু আজকে তো তারাই একই জায়গায় চলে এসেছে। আমরা ৫ আগস্টের পর যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছি, আজকে তো তারাও একই বিষয় উপস্থাপন করেছে। আমরা বারবার বলেছিলাম এই যে জুলাই সনদ এবং সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়টি সুরাহা হতে হবে। সেটি জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে, তারপর আমরা স্বাক্ষর করবো। আমরা স্বাক্ষর করিনি, তারা স্বাক্ষর করেছে। এখন তারা জুলাই কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।

বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংস্কারের পক্ষে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এগোতে চায় এনসিপি। বিএনপির সঙ্গে জোট হবে- এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে যে দলগুলো সংস্কারের পক্ষে থাকবে, আমরা তাদের সঙ্গেই কাজ করবো।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে ধরনের প্রস্তুতি এবং নির্বাচন কমিশন যেভাবে ভাগাভাগি হয়ে গেছে বিভিন্ন দলের মধ্যে, তারা আসলে কতটা নিরপেক্ষ থাকবে এটা আপনার পর্যবেক্ষণ করবেন।

সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষা-গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্তসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025