শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হলেও এখনো এ সংক্রান্ত নানা কাজ বাকি আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার পরেও আপনারা কেন আবার আন্দোলনের কর্মসূচি দিলেন, এ প্রশ্নটি আসতে পারে। উত্তরে আমাদের দলগুলোর পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে, আমরা যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি, এর মধ্য দিয়ে এতে থাকা সব সংস্কারমূলক প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছি। কিন্তু এখনো কাজ বাকি আছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। এটাকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট করতে হবে। তারপর জাতীয় নির্বাচন। এজন্যই আমাদের কর্মসূচি।’
রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে পাঁচ দফা গণদাবি আদায়ে ইসলামি দলগুলোর নতুন কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
জামায়াত নেতা বলেন, ‘গণভোট আর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশটা কখন হবে, জুলাই সনদে লিখিতভাবে তা অন্তর্ভুক্ত নেই। এ কারণে অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে আপনারা যে স্বাক্ষর করলেন, সেটার বাস্তবায়ন কবে হবে, কবে আদেশ জারি হবে, কবে গণভোট হবে? এ নিষ্পত্তি তো এখনো হয়নি।’
গোলাম পরওয়ার জানান, ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও সরকারের প্রধান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং কমিশনেও একমত হওয়া গেছে যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোকে সন্নিবেশিত করে অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা সাংবিধানিক আদেশসহ নানা আদেশ চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু তারা বলেছেন যে আইনের দিক থেকে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী একটি জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে।
জামায়াত নেতা বলেন, ‘আজকের বক্তব্যেও বলা হয়েছে, এটা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে এবং নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিয়ে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এরপরই জাতীয় নির্বাচন হবে।’
‘কেউ কেউ একই দিনে গণভোটের প্রস্তাব দেওয়ায় আমরা এর সঙ্গে দ্বিমত করেছি। এর পেছনে অনেক জটিলতা আছে,’ যোগ করেন তিনি ।
সংবাদ সম্মেলনে এর আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীতে, ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হবে। ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।