শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, কেমিক্যাল গোডাউনের বিষয়ে সরকারের শক্তিশালী পলিসি থাকতে হবে। পলিসি পরিবর্তন করা লাগলে তা পরিবর্তন করতে হবে। যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের কেমিক্যাল গোডাউন না থাকে। এর আগেও পুরান ঢাকায় এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল।
বুধবার (১৫ অক্টবর) দুপুরে আগুন লাগার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, যেখানে এ ধরনের কেমিক্যাল রাখা হয় তা বেআইনি। যারা এগুলো করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্তের পর আইনের আওতায় আনতে হবে। যে মানুষগুলো মারা গেছে তাদের পরিবারকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।
মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও ফায়ার সার্ভিস অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে আগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ফাইট দিয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এসে তারা পরিদর্শনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা থেকে সীতাকুণ্ডের পর এবার মিরপুর। ব্যাঙের ছাতার মতো এভাবে আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউন চলতে থাকবে কি না জানতে চাইলে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, অরাজকতা নতুন নয়, এটা বহুদিনের, বহুযুগের।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে শিয়ালবাড়িতে পোশাককারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগার খবর আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে।
পরে বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
এরপর পোশাক কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।