শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের অবরোধ চলছিল। আন্দোলনকারীরা বলছেন, অতীতেও বিভিন্ন সময় সরকার আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু দাবি পূরণ হয়নি। এবার তারা রাজপথে থেকেই এ সমস্যার সমাধান করে ক্লাসে ফিরতে চান।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, দাবি আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না থাকায় তারা শাহবাগ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরেজমিনে শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা ব্যস্ততম এ মোড়টিতে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
শিক্ষকরা বলছেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না৷ তাদের দাবি ন্যায্য উল্লেখ করে সরকারকে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির আহ্বানও জানিয়েছেন।
কুমিল্লা থেকে আন্দোলনে আসা সহকারী শিক্ষক সুলতানা রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি তো যৌক্তিক। আমরা অন্যায় দাবি করিনি৷ আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।’
রাজশাহী থেকে আসা শিক্ষক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘সরকার দাবি মানতে গড়িমসি করছে৷ আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। রাজপথেই সমস্যার সমাধান করে ক্লাসে ফিরতে চাই৷’
এদিকে, শাহবাগ অবরোধের ফলে আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট৷ ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷
এর আগে দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, বাড়িভাড়া ২০ শতাংশের এক শতাংশও কম হবে না; চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৪৯৯ টাকা হলেও হবে না, ১৫০০ টাকা করতে হবে; কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে৷
বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে সারাদেশ থেকে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অতীতেও বিভিন্ন সময় সরকার আশ্বাস দিয়ে দাবি পূরণ করেনি। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থামাবেন না।
শিক্ষকদের অন্য দুটি দাবি হলো- শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।