বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
হিজরি নববর্ষে মুসলিম বিশ্বের সাধারণ কিছু কর্মসূচি হলো—
১. সাধারণ ছুটি : হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন আরব বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের মুসলিমরা এই ছুটি ভোগ করে থাকে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সিরিয়া, ইরাক, মিসর, জর্দান ইত্যাদি।
২. ধর্মীয় আলোচনাসভা : হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোতে বিশেষ সেমিনার ও আলোচনাসভা করা হয়।
৪. সামাজিক উৎসব : মুসলিম বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে হিজরি নববর্ষে মুসলিম পরিবারগুলো পরস্পরকে আমন্ত্রণ জানায় এবং তারা আনন্দমুখর পরিবেশে সমবেত হয়। এসব পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপহারও বিনিময় করা হয়।
৫. সেবামূলক কাজ : নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজের উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়। যেমন—দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ভেতর খাবার বিতরণ করা, চিকিৎসা ক্যাম্প করা, মানুষের ভেতর ধর্মীয় উপকরণ বিতরণ করা।
আঞ্চলিক সংস্কৃতি
নববর্ষের কয়েকটি আঞ্চলিক সাংস্কৃতি হলো—
১. ইন্দোনেশিয়া : হিজরি নববর্ষে ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা ‘নাগাংগুং’-এর আয়োজন করে। আর তা হলো পিতলের বড় পাত্রে ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে বের হওয়া এবং তা মানুষের ভেতর বিতরণ করা। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা হিজরি নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে।
৩. সেনেগাল : হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন ছুটি কাটায় সেনেগালের মুসলিমরা। তারা এই দিন ঐতিহ্যবাহী খাবার কুসকুস প্রস্তুত করে। গম, সবজি, অলিভ অয়েল, গোশত, কিশমিশ, বাদাম ও বিশেষ মসলাযোগে এই খাবার তৈরি করা হয়।
৪. হায়দারাবাদ : ভারতের হায়দারাবাদে হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন বিশেষ ধরনের শরবত প্রস্তুত করা হয়। যাকে স্থানীয়রা ‘দুধ কা শরবত’ বলা হয়। দুধ, চিনি, বাদাম, রুহ আফজা ও বরফ কুচি দিয়ে এই শরবত তৈরি করা হয়।
৫. আরব উপদ্বীপ : আরব উপদ্বীপের দেশগুলোতে হিজরি নববর্ষকে ইসলামী নববর্ষ বলা হয়। এই দিনে সাধারণত সরকারি ছুটি থাকে। পরিবারে ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে বের হয়। তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরনের আলোচনাসভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
তথ্যঋণ : আলজাজিরা, আরব নিউজ, গালফ নিউজ