বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে চার ইসরাইলির পরিবর্তে মুক্তি পাচ্ছে ২০০ ফিলিস্তিনি। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে এই বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। তাদের একটি তালিকা আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রকাশ করেছে হামাস। মুক্তি পাওয়া ২০০ বন্দীর মধ্যে দীর্ঘ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী এবং দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত অন্যান্য বন্দীও রয়েছেন।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৭৯ জন দীর্ঘ সাজা ভোগ করছেন। এছাড়া মুক্ত হওয়া বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির বয়স ৬৯ বছর এবং সবচেয়ে ছোটজনের বয়স ১৫ বছর বলে জানা গেছে।
এদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে চার ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন কারিনা আরিয়েভ, লিরি আলবাগ, নামা লেভি এবং গাই গিলবোয়া-দালাল। হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবায়দা এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনথ জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের তিনজন নারী ও একজন পুরুষ। তাদেরকে শনিবার বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা ইসরাইলি বাহিনীর কাছে মুক্তিপ্রাপ্তদের পৌঁছিয়ে দেবে।
ইসরাইল আশা করছে যে আজকে হামাস তাদের কাছে জীবিত ও মৃত উভয় শ্রেণির বন্দীদের সম্পূর্ণ তালিকা হস্তান্তর করবে। ইসরাইলি বাহিনীর অনুমান অনুসারে, ৩৩ জন বন্দীর মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন এখনো বেঁচে আছেন।
আজ ইসরাইলও যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ছয় সপ্তাহের পর্যায় ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়, যার ফলে গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যুদ্ধ স্থগিত করে।
তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বন্দী বিনিময় এবং টেকসই শান্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার লক্ষ্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার করা