সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী কঙ্গোতে ভয়াবহ বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু চট্টগ্রামে ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার শিক্ষা ভবনের সামনে ফুটপাতে পড়ে ছিল বৃদ্ধের মরদেহ জুলাই বিপ্লবের খুনিদের শাস্তি দেখতে চায় জনগণ: জামায়াত আমির আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত: ফখরুল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-ব্যক্তি-সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান রেখে অধ্যাদেশ অনুমোদন যুদ্ধবিরতিকে ঐতিহাসিক বিজয় বললেন শাহবাজ শরিফ গণহত্যাকারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে: উপদেষ্টা আসিফ

ঈদের আনন্দ নেই গাজায়

বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার ঈদের কোনো আমেজ নেই। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে গাজাবাসী ঈদ পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দখলদার দেশটির আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা বা নতুন জামা-কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। আর অনেক পরিবার তো শুধু ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। রাফাহ, খান ইউনিস ও গাজা সিটির বাজারগুলোতে ঈদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতিও দেখা যায়নি।

স্থানীয় শিক্ষক মোহাম্মদ আল-হাওয়া বলেন, গত ঈদে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করতাম। এবার ঈদের দিন কোথায় থাকবো, কী খাবো- তা নিয়েই চিন্তা।জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মিসর সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ পাঠানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও তা হবে সীমিত আকারে। গাজাবাসী এবার ঈদের নামাজ পড়বেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা উন্মুক্ত জায়গায় ।যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে গাজাবাসীর জন্য ঈদ আনন্দের বদলে বয়ে এনেছে শোক ও দুঃখ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের আকুল আবেদন- এই ঈদে যেন তারা শান্তি ও নিরাপত্তা পায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলিমরা যখন ঈদের খুশি উদযাপন করবেন, তখন গাজাবাসীর ঈদ কাটবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে, অনাহার ও শোকের মধ্য দিয়ে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024