বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
একটি শ্রেণি জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে এখন ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই আন্দোলন কোনো একক দল বা ব্যক্তির নেতৃত্বে হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই জাগরণ’ র্যালি শেষে শাহবাগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে দলটির র্যালি শাহবাগ মোড়ে এসে শেষ হয়।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, গুম, খুন, আয়নাঘর তৈরি করে মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট শক্তি। কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য দাবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। জুলাই শুধু একটি আন্দোলনের নাম নয়, এটি একটি জাগরণের নাম।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে হবে। সব তথ্য-উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও যদি একজন হত্যাকারীরও বিচার না হয়, তাহলে সেটি সরকারের চরম ব্যর্থতা। এটি কোনো বিপ্লবী সরকার নয়, বরং একটি অলস সরকার।
তিনি আরও বলেন, নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ছাত্রশিবির আজকের এই অবস্থানে এসেছে। ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যেই ফ্যাসিবাদ পালাতে বাধ্য হয়েছিল। এখন যারা নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি আহ্বান—অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এস. এম. ফরহাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল, মহানগর পশ্চিম সভাপতি হাফেজ আবু তাহেরসহ কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের নেতারা।