রবিবার, ২৭ Jul ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় আট কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা পদ্মা ব্যারেজ ও পদ্মা সেতুর সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ভাসানী যেমন ফারাক্কা সমস্যাকে শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তেমনি পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর দাবি নিয়েও জনগণের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করা উচিত।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ শুধু ফরিদপুর বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকার সমস্যা নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং জনগণের জীবন-জীবিকার প্রশ্ন জড়িত থাকায় বিএনপি এই অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে অত্যন্ত সচেতন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো কঠিন কাজই সম্ভব। জনগণের ঐক্যবদ্ধ দাবিই পরবর্তী সরকারগুলোকে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাঙালি জাতি সবকিছু অর্জন করতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি দেশের মানুষের পালস বুঝি। দেশের মানুষ উন্নতি চায়, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়। আর এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা আজ এই উদ্যোগ নিয়েছেন, আপনারা সামনের দিকে বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে যাবেন। পিছিয়ে যাবেন না। ভাসানীর যে স্পিরিট, সেই স্পিরিট সঙ্গে নিয়ে আপনারা এই আন্দোলনকে সামনে নিয়ে যাবেন। অবশ্যই সমস্ত জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি জনগণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন। রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তায় সচেতনতার সঙ্গে এগোচ্ছে বিএনপি। ’
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।