বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
দিনভর অতিবৃষ্টির কারণে এরই মধ্যে ফেনী এবং কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ দিকের উপজেলাগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পানি কুমিল্লা ও ফেনী জেলার নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে ওই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, আজ মঙ্গলবার সারারাত চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব এলাকায় ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জাগো নিউজকে বলেন, এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, তার অন্যতম কারণ মৌসুমি লঘুচাপ। এই লঘুচাপ সৃষ্টির পর থেকে একই স্থানে অবস্থান করছে ৩৬ ঘণ্টা ধরে।লঘুচাপের কেন্দ্র পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বুধবার এই লঘুচাপের কেন্দ্র বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপরে থাকতে পারে। ফলে এই দুই বিভাগে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির পানি বুধবার গোমতী ও মুহুরী দিয়ে নামতে পারে বলেও জানান তিনি।