বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতে ৩০ জন নিহত, রেড অ্যালার্ট জারি জুলাই বিপ্লব অর্থবহ করতে গণহত্যার বিচার হতে হবে: সেলিম উদ্দিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের ৮ম দিনের বৈঠক চলছে কব্জিকাটা গ্রুপের অন্যতম প্রধান টুন্ডা বাবু গ্রেফতার দেশে নারী-শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়ে: উপদেষ্টা পরিবেশ রক্ষায় সুইডেনের সহায়তায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করছে বাংলাদেশ সাবেক এমপি শম্ভুর জমি ক্রোক ‍ও ১৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : আমীর খসরু কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

কোন ভরসায় টিকে আছেন নেতানিয়াহু?

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনে টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানের ওপর ইসরায়েল হামলা চালানোর পর থেকে পাল্টাপাল্টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এর কিছুদিন আগেই নেতানিয়াহুর সরকার সংসদে বিরোধীদের তীব্র চাপে পড়ে।

সংসদে বিরোধীরা এমন এক অনাস্থা প্রস্তাব তুলেছিল, যা পাস হলে নেতানিয়াহুর সরকার পড়ে যেত।

শেষ পর্যন্ত ৫৩ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও ৬১ জন বিরোধিতা করায় সেটি বাতিল হয়। এর ফলে আগামী ছয় মাস নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। তবে পরিষ্কার হয়ে গেল, নেতানিয়াহুর সরকার পতনের কতটা কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।নেতানিয়াহুর সরকার ডানপন্থী ও ধর্মীয় কট্টরপন্থী দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল।

সম্প্রতি এই ধর্মীয় দলগুলো সেনাবাহিনীতে ধর্মীয় শিক্ষার্থী তরুণদের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ ইস্যুতে সরকারের বিপক্ষে যাওয়ার হুমকি দেয়। ইসরায়েলে প্রতি সুস্থ তরুণের জন্য সেনাবাহিনীতে চাকরি বাধ্যতামূলক হলেও পুরনো বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা ছাড় পেয়ে যায়। গাজায় চলমান দীর্ঘ আগ্রাসনের কারণে সেনাবাহিনীতে জনবল সংকট দেখা দিলে ধর্মীয় ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নেওয়ার দাবি ওঠে, এতে ক্ষুব্ধ হয় এই ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো।তবে শেষ মুহূর্তে নেতানিয়াহু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মনজয় করতে সক্ষম হন।

ফলে ১২ জুন ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, বেশিরভাগ ধর্মীয় দল সরকার ভাঙার পক্ষে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরদিনই ইরানে বড় ধরনের হামলা চালায় ইসরায়েল। বিরোধীদের আন্দোলন সরকারকে চাপের মুখে ফেললেও চরম ডান ও ধর্মীয় জোটের সমর্থন ধরে রাখায় আপাতত নেতানিয়াহু ক্ষমতায় রয়েছেন।বিরোধীদের প্রশ্ন—এই সরকার গেলে যুদ্ধ থামবে কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, কট্টরপন্থী দলগুলো যেহেতু নতুন সরকারকেও যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাপ দেবে, তাই যুদ্ধের অবসান আসবে না।

এদিকে নেতানিয়াহু নিজেই স্বীকার করেছেন, গাজায় এক সন্ত্রাসী দলকে অস্ত্র ও সহায়তা দিচ্ছে তার সরকার, যারা ত্রাণ ছিনতাই ও ত্রাণকর্মী হত্যার মতো অপরাধে জড়িত।

এর ফলে গাজার নিরীহ মানুষকে সন্ত্রাসী হিসেবে দাগিয়ে বিশ্বমঞ্চে নতুন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।ইতিহাস বলে, ফিলিস্তিনকে অস্থিতিশীল করতে ইসরায়েলের এ ধরনের কৌশল নতুন নয়। গাজা, ইয়েমেন, সিরিয়া, লেবাননের পর এবার ইরানের ওপরও হামলা চালিয়ে মার্কিন সরকার, বিশেষ করে ট্রাম্পের সমর্থন পাচ্ছেন নেতানিয়াহু। তবে এ সমর্থন কতদিন টিকবে, সেটাই বড় প্রশ্ন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024