সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন ভোয়েড সমন্বয়ক ইমরান হোসেন, আবদুল কাইয়ুম ও আলামিন। এ ছাড়াও গুম হওয়ার পর উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
বক্তৃতায় ভবিষ্যতে গুম ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ, গুমের ঘটনার বিচার, মিথ্যা মামলা থেকে ভুক্তভোগীদের অব্যাহতি দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ২০১৮ সালে ঢাকার নতুন বাজার থেকে গুম হওয়া রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, তার বন্ধু ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় তাকেও গুম করা হয়। ১৩ দিন গুম করে রাখার পর জঙ্গি সাজিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গুমের শিকার কাইয়ুম হাওলাদারের অভিযোগ, মামলার সাক্ষী না হওয়ায় তাকে ৪ মাস গুম করে রাখা হয়। বরিশাল বিভাগে এভাবে ৫০ জন আছে, যারা গুম ও মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছেন।
তাদের দেওয়া ছয় দফা হলো-গুম সেল, আয়না ঘরসহ সকল গুম সেল জাতির সামনে উন্মোচন এবং সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। গুম, খুন ও গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী নেতাকর্মীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এসব নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুম ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ত্রাস বিরোধী কালো আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।