বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
গাজা সিটিতে পরিকল্পিত দখল অভিযানের আগে বুধবার (১৩ আগম্ট) ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এটি গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দৈনিক প্রাণহানি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা চাইলে গাজা ছাড়তে পারে। তার এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তবে আরব দেশসহ বহু বিশ্বনেতা এই ধারণাকে নতুন ‘নাকবা’ হিসেবে দেখছেন, যা ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার পূর্বাঞ্চলে জেইতুন ও শেজাইয়া এলাকায় বিমান ও ট্যাংক হামলায় বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আল-আহলি হাসপাতাল জানিয়েছে, জেইতুনে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে কয়েকটি বাড়ি ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ত্রাণ নিতে যাওয়া নয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মেডিকেল সূত্র।
গাজায় খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৫ জনে, যার মধ্যে ১০৬ জন।
জাতিসংঘ ও ২৪টি দেশ এ সপ্তাহে গাজার ‘অচিন্তনীয় দুর্ভোগ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সীমাহীন ত্রাণ প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে এবং একই সংখ্যক ট্রাক জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বিতরণ করেছে। পাশাপাশি, তিন ট্যাংকার জ্বালানি ও ৯৭ প্যালেট আকাশপথে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনিদের দাবি, এই সাহায্য মোটেও পর্যাপ্ত নয়।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/