শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
জামায়াত আমিরের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি আজ জুলাই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যেই : মাহফুজ আলম উগ্রবাদ যাতে না বাড়ে সজাগ থাকতে হবে :তারেক রহমান ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সহমর্মিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে’ জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি শনিবার, দোয়া কামনা ‘মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে যখন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারব’ ২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল জুলাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র এক বিস্ফোরণ : ফারুকী গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারালো আরও কমপক্ষে ৭১ ফিলিস্তিনি

‘মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে যখন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারব’

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে ফ্যাসিবাদ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি মিলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার জুলাই শহীদদের স্মরণে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে বিএনপির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভয়ংকর একটা ফ্যাসিবাদ থেকে আমরা আপাতত মুক্তি পেয়েছি। এই মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে, যখন আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে পারব।

আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা এ দেশকে ধ্বংস করেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা তৈরি করুন। তারা যেন আর কোনোদিন ফিরে আসতে না পারে, ফিরে এসে যাতে আমাদের ছেলেদের হত্যা করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ’জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যদিও সরকার পুরোপুরি সেটা করতে পারেনি, তবে উদ্যোগ নিয়েছে—এজন্যও ধন্যবাদ জানাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ এখন আর স্লোগান দেখতে চায় না, মানুষ দেখতে চায় সঠিক কাজটা হচ্ছে কি না। বাংলাদেশের ভালোর জন্য কাজ করছে কি না। ’

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এমন একটি গণতন্ত্র চাই, যেখানে মানুষ মুক্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে, নিজেদের প্রতিনিধি নিজেরাই নির্বাচিত করতে পারবে। দিনের ভোট রাতে, ডামি ভোট, ইচ্ছেমতো ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংক লুটের রাজনীতি আর চাই না।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে বিএনপি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটি আমরা চাই। দেশের মানুষও চায়। আমাদের একটি সংসদ দরকার, যেখানে জনগণের কথা বলা যাবে। ’

মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এত তাড়াতাড়ি শহীদদের ভুলে যাবেন না।

যারা বাংলাদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, একটা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য–তাদের কথা একবার ভালো করে মনে করেন। এই বোধ-অনুভূতিটা যদি না আসে, তাহলে আপনি এই দেশে জন্য কিছু করতে পারবেন না। এই দেশকে বদলাতে হবে।আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের এত আত্মত্যাগ, মানুষের এত আত্মত্যাগ–তার বিনিময়ে দেশে অস্থিরতা যখন দেখতে পাই, তখন খুব কষ্ট হয়। আমরা চাই সবাই মিলে সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়ব। ’

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024