Editor Panel
- ৩১ জুলাই, ২০২৫ / ১৬ Time View
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেছেন, রাষ্ট্র কী, রাষ্ট্র কার জন্য? এক বছরেও হত্যাকারীদের খুঁজে বের করলেন না, এক বছরে হতাহতদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারলেন না কেন? এগুলো বললে সরকারের লোকেরা বলে আক্রমণ করছি তাদের। আক্রমণ তখনই করি যখন আপনারা ব্যর্থ হন।
তিনি আরও বলেন, ম্যাজিকাল দেশ তৈরি করতে চায় সরকার, কিন্তু তা জনগণের মধ্য থেকে আসুক। কিন্তু সরকারের মধ্যে তা দেখতে পাচ্ছি না।
৭ আগস্ট সমাবেশ থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনে চেয়েছিলাম, তখন সমালোচনা করা হয়েছিল যে, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু তা না এখন তা প্রমাণ হচ্ছে।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তবে হতাশ হবেন না, নিরাশ হবেন না।
জনগণের দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ গড়া সম্ভব হবে আশাবাদ রাখি। রাজনীতিকদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার সময় এখন, তাহলে জনগণ সুফল পাবে।তিনি বলেন, এত সমস্যার মধ্যেও ১২টাতে ঐকমত্য হয়েছে। বাকিগুলোও আশাবাদী।
মৌলিক সংস্কার করে লন্ডন বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে দ্বিধা কেটে যাবে।তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া না হলে তিক্ততা তৈরি হবে। লিমিট থাকা উচিত সবার কথা বলার সময়।
অভ্যুত্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন শিশুর মাথার খুলি উড়ে গেছে গুলিতে। আর্টিফিশিয়ালভাবে খুলি লাগানো হয়েছে।
এর চেয়ে বড় ত্যাগ কী হতে পারে? গণতন্ত্রের জন্য যে মূল্য দিতে হয়েছে, তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারি… তবে শিশুদের ও দেশের মানুষের সাথে একটা প্রতারণা করা হবে।