মঙ্গলবার, ২৯ Jul ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সিলেকশন কমিটির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন এবং সেটাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করায় সম্মত হয়েছেন। ঠিক, একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাকি যে সংবিধিবদ্ধ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেখানেও আপনারা আপনাদের দলীয় অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
আখতার হোসেন বলেন, গত পাঁচ দশকে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা নিজেদের মতো করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দিয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের শিকার হয়েছে এবং জনবান্ধবতা হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া দলীয় বিবেচনার বাইরে এনে একটি নিরপেক্ষ, সব পক্ষের প্রতিনিধিত্বে গঠিত সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারি, তাহলে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পিএসসি ও দুদকে নিয়োগ প্রধানমন্ত্রী তথা নির্বাহী বিভাগের পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি দিয়ে থাকেন। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। উল্টো বিরোধীদলের ওপর চাপ সৃষ্টির হাতিয়ারে পরিণত হয় দুদক।
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, পিএসসি ও দুদকের নিয়োগ যদি একটি নিরপেক্ষ সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে হয় এবং সেটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে এর স্থায়িত্ব এবং নিরপেক্ষতা উভয়ই রক্ষা পাবে। সংবিধান পরিবর্তন যতটা কঠিন, আইন পরিবর্তন তার তুলনায় সহজ। দুদককে সাংবিধানিক অন্তর্ভুক্তি নিরাপদ।
এনসিপির এই নেতা বলেন, বিগত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রশ্নফাঁস এবং ভাইবায় দলীয় বিবেচনার মতো ঘটনাগুলো জনগণের আস্থায় চরম ধাক্কা দিয়েছে। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই, যেখানে চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে, কোনো দলীয় প্রভাব থাকবে না।
আখতার হোসেন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে যে জনচেতনা তৈরি হয়েছে, তা দলীয় নিয়ন্ত্রণ মুক্ত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষেই কথা বলছে। আমরা আর দলীয়করণের কোনো প্রতিষ্ঠান দেখতে চাই না। আমরা চাই রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে, জনস্বার্থে কাজ করুক।