মঙ্গলবার, ২৯ Jul ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হলে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্র দেখছি। কারণ এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বিরতিতে এই কথা বলেন তিনি।
আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, প্রবাসীদের ভোটার করা, ভোটার তালিকা আপডেট করাসহ নির্বাচন কমিশনের অনেক কাজ। প্রবাসীদের ভোটার করার ব্যাপারে সরকারের কমিটমেন্ট থাকলেও সেটা এখনো হয়নি। এরই মধ্যে ছয় মাস পার হয়েছে। আমরা যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে নেই তাহলে এসব প্রস্তুতি আরও জোরদার হতে পারে। সেজন্যই আমাদের কাছে একটু শঙ্কা লাগে, কোনো জায়গা থেকে চক্রান্ত আছে কি না।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, যদি একটা ফেয়ার ইলেকশন হয়, লেভেল ফিল্ড সেখানে তৈরি হয় এবং কিছু আইনের পরিবর্তন দরকার। কে সরকারে যাবে কে বিরোধী দলে যাবে এটা ডিসাইড করবে জনগণ। তবে তার পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটা ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন। আমরা সেজন্যই মানুষ যে রায় দেবে সে রায়কে মাথা পেতে নেবো।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে মূলত সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পিএসসির (পাবলিক সার্ভিস কমিশনের) ওপরেই আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য হাউজ একটু উত্তেজিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, আগে থেকেই কয়েকটি সাংবিধানিক কমিটি স্বাধীন ছিল। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো আইনগত সিস্টেম ছিল না। কিন্তু আমরা দেখছি, নিয়ম যেটাই হোক ড্রয়ার থেকে একটা স্লিপ বের হয় এবং সেই স্লিপ অনুসারেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অনেক মেধাবী ছেলেরা রাজনৈতিক কারণে চাকরি পাননি। অনেক মেধাবী লোকে রাজনৈতিক কারণে চাকরি হারিয়ে ফেলেছে। এটার জন্য সবচেয়ে বেশি সাফার করেছে রাষ্ট্র।
তিনি বলেন, অনেক সচিব ড্রাফট করতে পারতেন না। ড্রাফিংটা অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি লেভেলের কাজ, কিন্তু দেখা যায় সচিব ড্রাফিং জানে না। অনেক সচিব আছেন যারা ইংরেজিতে ড্রাফ করতে পারেন না। এই যে বিশাল একটা অধঃপতন, আমাদের রাষ্ট্রের চেয়ে দুর্বলতা ও বিদেশে গিয়ে নেগোশিয়েট করতে পারে না। সেজন্য আমরা বলেছি, পিএসসি সাংবিধানিক একটা কমিটি থাকবে। এখানে কোনো দলের কোনো মন্ত্রীর কোনো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। এটার বিরোধিতা করার তো আমি কোনো কারণ দেখতেছি না।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা বলি সচিবালয়ে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা আছেন। তাহলে তারা কারা? তারা হচ্ছেন যারা স্বৈরাচার মেরিটকে বাদ দিয়ে স্লিপের মাধ্যমে লিস্টের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছে।