রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগ নজিরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ

ইমাম হোসেন (রা.) এর আত্মত্যাগ অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রোববার (৬ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার (৫ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা জানান।

তারেক রহমান বলেন, ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল ও স্মরণীয় একটি দিন ১০ মহররম। বিশ্বের ইতিহাসে এই দিনে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়। তাই এই দিনের মহিমা অসীম। এক বিয়োগান্তক বিষাদময় ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত এদিন—যা পবিত্র আশুরা হিসেবে পালন করা হয়।

তিনি বলেন, অন্যায়, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। এই দিন শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের দিন। জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসেন (রা.) এর আত্মত্যাগ সারাবিশ্বের মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমামন্ডিত অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

তারেক রহমান আরও বলেন, ইমাম হোসেন (রা.) এর কষ্ট ও শাহাদাত এবং ইসলামকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার আত্মত্যাগ বিশ্বব্যাপী এক বিশাল প্রেরণার উৎসস্থল। সৃষ্টিকর্তা-নির্ভর ন্যায়বিচার, তাকওয়া, ত্যাগ এবং মানবিক মর্যাদার মর্মবাণী এই আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পায়।

আশুরার শিক্ষা ও বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইমাম হোসেন (রা.) এর শাহাদাতবরণ অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ। যারা ক্ষমতার মোহে ইনসাফ ও মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেই ইমামবাহিনী জীবন উৎসর্গ করেছিল। কারবালার এই আত্মত্যাগ যুগে যুগে নিপীড়িত মজলুম মানুষকে অন্যায় প্রতিরোধের প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ভাঁওতাবাজির নির্বাচন, ভোটাধিকার হরণ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সন্ত্রাস ও হানাহানি চালিয়ে দেশে এক ভয়াবহ জুলুম ও শোষণের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি রাখা এবং সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দেশত্যাগী আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল এজিদ বাহিনীর পৈশাচিকতারই পুনরাবৃত্তি।

তারেক রহমান বলেন, আজও ইমাম হোসেন (রা.) ও তার সঙ্গীদের আত্মদানের চেতনায় দেশ ও জাতির মধ্যে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। নির্দয় অত্যাচারীর যেন আর অভ্যুদয় না ঘটে, সেই প্রেরণাই আমরা কারবালা থেকে পাই।

তিনি বলেন, আমি শহীদ হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তার শহীদ পরিবার ও সঙ্গীদের শাহাদাতের স্মরণে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024