শনিবার, ০৫ Jul ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের খুনিসহ ফ্যাসিস্টদের বিচার, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, রাজনৈতিক সংস্কার ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে রংপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর জনসভা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা ৩টায় ঐতিহ্যবাহী রংপুর জিলা স্কুল মাঠে শুরু হয়েছে এ জনসভা।
প্রায় দেড় যুগ পর রংপুরে জামায়াতের এই জনসভা ঘিরে ঢল নেমেছে মানুষের।
জিলা স্কুল মাঠ পূর্ণ হয়ে জনস্রোত পৌঁছে গেছে প্রধান সড়কসহ আশপাশের এলাকা।
এর আগে সকাল থেকে বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত হতে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন। দুপুরে মাঠেই জুমার নামাজ আদায় করেন জনসভায় আসা মানুষ। নামাজে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ওলামা বিভাগের রংপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আমিন।
বিভাগীয় এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান বক্তা কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।
বিশেষ বক্তা হিসেবে আছেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
এছাড়া জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন জনসভায়।
রংপুর মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিভাগীয় এই জনসভা উপলক্ষে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মাঠের ভেতরে প্রবেশের জন্য নতুন দুটি প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে নারীদের পর্দার সঙ্গে বক্তব্য শোনার জন্য আলাদা ব্যবস্থা।
জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে মাইকিংয়ের পাশাপাশি রংপুর নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বড় বড় বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানে। সেইসঙ্গে পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়।
মাইকিং ছাড়াও জেলা উপজেলায় করা হয়েছে গণসংযোগ। বিশাল মোটরসাইকেল র্যালি করেছে দলটি। বিভাগীয় জনসভা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে প্রচারণাসহ ১৩টি উপ-কমিটি গঠন করা করছে। এ ছাড়া মেডিকেল টিম, নিজস্ব ভলান্টিয়ার প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনসভায় আসা লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের জামায়াতকর্মী হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতন ও জুলুমের হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়ছি। ১৭ বছর প্রকাশ্যে এমন জনসভা করার সুযোগ হয়নি। আজ সেই সুযোগ ফিরে পেয়েছি। আমার মতো হাজারো কর্মী এখন উজ্জীবিত।
রংপুর নগরীর গুড়াতিপাড়ার জামায়াতকর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, জনসভায় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। দীর্ঘদিন সভা-সমাবেশের বাইরে থেকেও জামায়াতে ইসলামী যে মুছে যায়নি, এটিই তার প্রমাণ।
রংপুর বিভাগীয় জনসভা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব কেএম আনোয়ারুল হক কাজল বলেন, আগামী নির্বাচন ঘিরে আমাদের আজকের এই জনসভা নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।