মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :

সহাবস্থানের মডেল হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: শফিকুল ইসলাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারাবিশ্বে গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের মডেল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে, অন্যান্য দলের ছাত্রনেতারা ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে ছাত্রলীগ নামক কলঙ্কের কাছে হামলার শিকার হতো, অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু আজ সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রবেশ করেছি, একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছি, শিবির ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন একই মঞ্চে আছে, এটা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রোল মডেল, এজন্য আমি জবির শিক্ষকদের যারা এই পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ফ্যাসিবাদের পতনে গণমাধ্যমের ভূমিকায় শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছিল সাংবাদিকরা। এই সাংবাদিকরাই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, ওই সাংবাদিককে, যিনি হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা পাবে না তো রাজাকারেরা পাবে, ধন্যবাদ দিয়ে বলতে চাই তিনি প্রশ্ন করে শুধু ফ্যাসিবাদের পতনই করেননি, নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন।

এছাড়া আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ।

এদিন আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024