মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :

নৌকা মার্কাকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নৌকা মার্কাকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। বিচার চলাকালীন সময় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো আসছে না।

শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছে- এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা বলে মনে করি। জাতির কাছে আমাদের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল বিগত ফ্যাসিবাদী আমলের বিচার নিশ্চিত করা এবং দেশের সংস্কার করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এ ২৪ প্রথমবার রাজপথে নেমে আসেনি, জীবন দেয়নি। এর আগে বহুবার এ দেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে জীবন দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পরে ১৯৭২ সালে আমার সোনার বাংলার স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বেহাত হয়ে গিয়েছিল। দেশটাকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা স্বাধীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছিল। মুজিববাদী সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষার অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছিল। সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। গণতন্ত্র নামে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল।

আমরা দেখেছি বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছিল। দেশের জনগণ নব্বইয়ে রাজপথে নেমে স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটিয়েছিল। কিন্তু ৩০ বছর পরে আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছিল। আমরা সবাই জানি বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ কীভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতা যখন তাদের অধিকারের জন্য রাজপথে নেমে এসেছিল, এ দেশের পুলিশ সেনাবাহিনী বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। নিবন্ধন বাতিল করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। বিগত নয় মাসেও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য করা হচ্ছে। তৃণমূলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।

নির্বাচন কমিশন কার পারপাস সার্ভ করবে। আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন করছে, শেখ হাসিনা গণহত্যাকারী কি না! সেই সব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024