Editor Panel
- ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ / ৪ Time View
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের ঘোষণা সরকার থেকে এলেও এ নিয়ে অধ্যাদেশ (আইন) হওয়ার পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার ইসির ধারাবাহিক নির্বাচনি সংলাপের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় পর্বের সমাপনী বক্তব্যে গণভোটের বিষয়ে রাজনীতিবিদরা বারবার জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি এ কথা জানান।
সিইসির সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপিসহ ছয়টি দলের সঙ্গে এ পর্বে সংলাপ করে ইসি।
দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি– বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাসদ মার্কসবাদীর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে চার দিনে ৪৮টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করা হলো।সংলাপের বিকালের পর্বে সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘ওই (গণভোট অধ্যাদেশ) আইনটা হলে তখন আমার একটা দায়বদ্ধতা আসবে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার। আমি তো এখনো এ ব্যাপারে বক্তব্য দিতে পারি না।
কিন্তু রাজনীতিবিদরা অনেক জিজ্ঞাসা করছেন- কীভাবে করবেন। কীভাবে এগুলোর জবাব দেবে, কতটা বাক্স করবেন। এগুলোর সব চিন্তা, এক্সারসাইজ শুরু করব আমরা ওই আইনটা হওয়ার পরে। ’‘গণভোটের কথা এসেছে।
রেফারেন্ডামটা-কীভাবে ভোট করব। আগে আইনটা তো হতে হবে। রেফারেন্ডামের একটা ল’- ওখানে বলা আছে, ঘোষণার মধ্যে, অর্ডারের মধ্যে একটা আইন হবে। রেফারেন্ডাম যেটা ইলেকশন কমিশনকে অথরাইজড করবে। প্রেসক্রাইব করে দেবে-কী বিষয়ে গণভোট হবে, কীভাবে হবে ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ‘ইলেকশন নিয়ে আমাদের কম অভিজ্ঞতা হয়নি। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুধু আমাদের উচিত হবে এদেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তবতাটা মেনে নিয়েই চিন্তাভাবনা করা। ’
সিইসি বলেন, ‘সবদিক থেকে বাস্তবতা আছে। সামাজিক বাস্তবতা। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা সেই স্লো অ্যান্ড স্টেডি ওয়েতে, কম কথায় কাজ বেশি, কথা কম কাজ বেশি সেইভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ সাকসেসফুলি এগোতে পেরেছি। ’